জনতা ব্যাংকের প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা
রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। গত শুক্রবার বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বিষয়টি নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে জনতা ব্যাংক তাদের স্ব-অবস্থান তুলে ধরেছেন। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বার্তায় তারা জানান, জনতা ব্যাংক লিমিটেডে ‘এক্সিকিউটিভ অফিসার’ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়না। বিধি মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি (বিএসসি) এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপ সম্পন্ন হয়ে থাকে। সে প্রেক্ষিতে বিএসসি উক্ত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পাদন (পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি, পরীক্ষা গ্রহন ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন) এর জন্য দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহনকারী সংস্থা/প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করে থাকে। নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সকল প্রক্রিয়া পরিপালনের পর ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করে থাকে।
এর আগে, আগের রাতেই অনলাইনে ফাঁস হয়েছে দাবি করে পরীক্ষার্থীরা তার স্বপক্ষে বিভিন্ন ‘প্রমাণ’ উপস্থাপন করলেও বিষয়টিকে নাকচ করে এ অভিযোগকে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ বলছেন এ পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘স্লাইড শো’ প্রদর্শন এবং লিখিতভাবে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কিছু নজির তুলে ধরেন আন্দোলনকারীরা। এসময় ২৭ এপ্রিলের মধ্যে এ পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা। দাবি আদায় না হলে তারা হাইকোর্টে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
২০১৬ সালের ১০ মার্চ ৮৩৪টি পদের বিপরীতে জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা বা এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি। এই পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। গত ২৪ মার্চ সকাল ও বিকালে প্রাথমিক বাছাই (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আড়াই লাখ প্রার্থী তাতে অংশ নেন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ১৫০ জন। গতকাল নয় হাজার ৪০০ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: