জমে উঠতে আরো সময় লাগবে

প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ০৬:০০ পিএম

ট্যানারি শিল্পকে হাজারীবাগ থেকে স্থানান্তরিত করে পাঠানো হয়েছে সাভারের হেমায়েতপুরে। এখনো বহু ট্যানারি তাদের ভবনের অবকাঠামো নির্মানের কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি। তবে কিছু ট্যানারি তাদের ভবনের অবকাঠামো অসম্পূর্ণ থাকা অবস্থাতেই শুরু করেছে চামড়া প্রক্রিয়াকরণ।

সরেজমিনে জানা যায়, সাভারের হেমায়েতপুরে ১৯৯.৪০ একর জমিতে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ট্যানারি পল্লী এলাকা। এতে ব্যায় হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এখনো ট্যানারি মালিকরা তাদের ভবনের কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি। কেউ কেউ এক তলা ভবন করেই শুরু করে দিয়েছে তাদের চামড়া প্রক্রিয়াকরণ। তবে কিছু কিছু ট্যানারি ভবনের কাজ শেষ হওয়ায় তারা শুরু করে দিয়েছে তাদের কাজ।

সরেজমিনে আরো জানা যায়, যারা তাদের ট্যানারি ভবনের কোন তলাই এখনো সম্পন্ন করতে পারেনি তাদের মধ্যে অনেকেরই হাজারীবাগে তৈরিকৃত মালামাল রয়েছে। তারা তাদের মালামাল শুকানোর জন্য সামনের রাস্তা ব্যবহার করছে। আবার অনেকে চামড়া শুকাচ্ছে তাদের সম্পূর্ণ না হওয়া ভবনের উপরে।

ট্যানারি স্থানান্তর করা হলেও এখনো অনেক ট্যানারিতে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন অনেকে। তারা বলেন, এখনো সব গুলোতে গ্যাসের সংযোগ দেয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষ কয়েকদিনের মধ্যেই গ্যাসের সংযোগ দিবে বলে জানান তারা।

&dquote;&dquote;

আবুল বাশার নামে একজন জানান, অনেকেই তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে। আবার অনেকের ভবনের কাজ শেষ হয়নি। কারো কারো গ্যাসের সংযোগও দেয়া হয়নি। তবে হাজারীবাগের মত সাভারের হেমায়েতপুরের ট্যানারি পল্লী জমে উঠতে হয়তো আরো কিছুটা সময় লাগবে।

উল্লেখ্য, হাজারীবাগের এলাকা ছেড়ে সাভারে ট্যানারির কাজে সংরক্ষিত এলাকায় যাওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ হতে বেশ কয়েকবার নোটিশ দেয়া হলেও হাজারীবাগ ছেড়ে যায়নি ট্যানারির মালিকরা।

গত ৮ এপ্রিল শনিবার সকাল ৯ টার দিকে শফিক লেদার ট্যানারিতে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণের মধ্য দিয়ে এ অভিযান শুরু করে বন্ধ করে দেওয়া হয় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: