নিজের ও পরিবারের জন্য মালয়েশিয়ার ভিসা

প্রকাশিত: ০৬ মে ২০১৭, ০১:৫০ পিএম

আজকাল অনেকে পরিবার নিয়ে বাইরের দেশে বসবাস করতে চান। অবশ্যই তাদের প্রথম পছন্দ ইউরোপ। কিন্তু ইউরোপের নতুন নতুন আইন কঠিন করে তুলছে সেখানকার ভিসা ব্যবস্থা। তাই মুসলিম দেশ হিসেবে মালয়েশিয়া এখানকার মানুষের দ্বিতীয় পছন্দ। তাই মালয়েশিয়াতে কিভাবে সেকেন্ড হোম ভিসা নিবেন জেনে নিন এখনই।

মালয়েশিয়ায় আমার দ্বিতীয় হোম প্রোগ্রামটি অন্যান্য দেশের নাগরিকদের জন্য। যারা মালয়েশিয়াতে নিজের পরিবার নিয়ে থাকতে চান তাদের জন্য দেশটির সরকার নবায়ন যোগ্য দশ বছরের ভিসা দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই সুবিধার আওতায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষ মালয়েশিয়ায়। মালয়েশিয়াতে দুই ভাবে পরিবার নিয়ে স্থায়ী বা দীর্ঘ সময় বসবাস করা যায়।

(১) স্থায়ী ভিসার মাধ্যমে।
(২) দ্বিতীয় হোম প্রোগ্রামটি এর মাধ্যমে।

(১) স্থায়ী ভিসার: বাইরের দেশের নাগরিক যারা মালয়েশিয়াতে টানা ৫ বছর থেকেছেন তারা স্থায়ী ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যে সকল বিদেশি নাগরিক মালয়েশিয়ার নাগরিককে বিবাহ করেছেন তাদের ক্ষেত্রে ১০ বছর টানা এখানে বসবাস করতে হবে। আবেদন পত্রটি অবশ্যই একজন মালয়েশিয়ার নাগরিক দ্বারা হতে হবে। এবং সাথে দরকারি কাগজ পত্র জমা দিতে হবে যেমন:- আবেদন পত্র, পাসপোর্ট কপি বিগত ৫/১০ বছরের, আবেদনকারীর দুইটি ছবি, জামিনদারের এক কপি ছবি, অন্যান্য কাগজ পত্র এবং স্ত্রী ও ছেলে মেয়ের ছবি (যদি দরকার হয়)।

(২) দ্বিতীয় হোম প্রোগ্রামটি– দশ বছরের ভিসা: এই প্রোগ্রামটি সকল দেশের নাগরিকের জন্য প্রযোজ্য। যারা সফলভাবে আবেদন করতে পারবেন তারা দশ বছরের জন্য ভিসা পাবেন এবং তারা দেশ থেকে একাধিক বার আসা যাওয়া করতে পারবেন। ভিসার জন্য অবশ্যই পাসপোর্ট বৈধ হতে হবে। সব সময় ভিসার মেয়াদের দিকে লক্ষ রখতে হবে। কোন কোন সময় ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এতে সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নতুন পাসপোর্ট হাতে রাখতে হবে।

যদি এমনটা না করেন তবে শাস্তি ভোগ করতে হতে পারে ,কারণ এই দেশের অভিবাসন বিভাগ এই অবস্থাকে অবৈধ বলে গণ্য করবে। সফল আবেদনকারী তাঁর স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে যাদের বয়স ২১ বছরের নিচে তাদেরকে আনতে পারবেন এবং তাঁর পিতা-মাতাকে যাদের বয়স ৬০ বছরের উপরে। 

ই ভিসা পেতে যা লাগবে:
আর্থিক: সকল আবেদনকারীকে তাদের আর্থিক সচ্ছলতা দেখাতে হবে যে তারা সহজে এখানে বসবাসের জন্য ব্যয় করতে সক্ষম। এর মানে হল তাঁর কমপক্ষে ১০,০০০ রিঙ্গিত আয় থাকতে হবে। আবেদনকারীর বয়স যদি ৫০ বছরের কম হয় তবে তার কাছে ৫,০০,০০০ রিঙ্গিত আছে তার প্রমান দেখাতে হবে। আর যদি আবেদনকারীর বয়স ৫০ বছরের বেশি হয় তবে তাকে প্রমান স্বরূপ ৩,৫০,০০০ রিঙ্গিত আছে দেখাতে হবে।

চিকিৎসা: আবেদনকারীকে মালয়েশিয়ার একটি নিবন্ধিত বেসরকারী ক্লিনিক থেকে মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এবং তাকে চিকিৎসা বিমা ও করাতে হবে।

বিধিনিষেধ: মালয়েশিয়ায় আমার দ্বিতীয় হোম প্রোগ্রামটিতে আবেদনকারীদের সমগ্র মালায়েশিয়াতে কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়নি। এই নিষেধাজ্ঞাকে কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। এখানে আবেদনকারী যাদের বয়স ৫০ বছরের উপরে তারা আংশিক সময়ের জন্য কাজ করতে পারবেন।

আবেদনকারী বিশেষ কিছু সুবিধা পাবেন যেমন তারা সম্পত্তি বা যানবাহন কিনতে পারবেন। এটা তারা নিজের ব্যাবসায় বা ব্যাক্তিগত কাজে ব্যাবহার করতে পারবেন। 

আবেদনকারীদেরকে ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে একটি বিশেষ আইডি কার্ড দেয়া হয় যার মাধ্যমে তাদেরকে অন্যান্য বিদেশি নাগরিক থেকে আলাদা হিসাবে গণ্য করা হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: