মোবাইলে ব্যস্ত চিকিৎসক, শিশুর মৃত্যু 

প্রকাশিত: ২২ মে ২০১৭, ০৮:২১ পিএম

কতটা অমানবিক হলে সদ্যোজাত শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করে মোবাইলে ব্যস্ত থাকা যায়! প্রসব যন্ত্রণায় অন্তঃসত্ত্বা মা-কে ছটফট করতে দেখেও নিরুত্তাপ হয়ে বলা যায়, “একটু ব্যস্ত আছি, পরে আসছি৷” ক্যানিংয়ের জীবনতলা এলাকার ঘটনায় ফের প্রকট চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ৷ ঘটনায় অভিযোগ করা দায়ের হয়েছে খুচিতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ৷

শনিবার নয়’মাসের অন্তঃসত্ত্বা পূজা কর্মকার অসহ্য প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে আসেন বাড়ির কাছেই খুচিতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে৷ অভিযোগ, সেখানে ভর্তি হওয়ার পরে বিছানায় পড়ে থাকলেও তাকে দীর্ঘক্ষণ দেখতে আসেননি কেউ ৷ পূজার স্বামী প্রসেনজিতের প্রশ্ন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সে সময় চিকিৎসক, নার্স ছিলেন ৷ তবু আমার স্ত্রীকে দেখতে এলেন না ৷” তাঁর অভিযোগ, “আমি আমার স্ত্রীকে ভর্তি করিয়ে দিলেও কোনও চিকিৎসক দেখতে আসেননি ৷ ও বেডে শুয়ে ছটফট করছিল ৷ চিকিৎসককে ডাকতে গেলে জবাব আসে, ব্যস্ত আছি৷ পরে আসছি ৷” শনিবার সারাদিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছিলেন পূজা৷ রাতে সন্তান প্রসব করেন তিনি ৷ অভিযোগ, সন্তান প্রসব করার পরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আশাকর্মীরা থাকলেও আসেননি চিকিৎসক৷

জন্মানোর পরে শিশুটি হাত-পা ছুঁড়ে কাঁদছিল ৷ সে সময় বহুবার চিকিৎসককে ডাকা হয়৷ একটু পরেই আস্তে আস্তে স্থির হয়ে যায় শিশুটি ৷ সদ্যোজাতর দেহ আগলে মায়ের আফসোস, “জন্মানোর পর বাচ্চাটা কাঁদছিল ৷ ডাক্তারবাবুকে বারবার ডাকলেও আসেননি ৷ হাত-পা ছুড়তে ছুড়তেই বাচ্চাটা স্থির হয়ে যায় ৷” অনেকক্ষণ পরে এসে চিকিৎসক জানান, শিশু মৃত ৷ এরপর নিথর দেহটি নিয়েই জীবনতলা থানায় যান প্রসেনজিৎ ৷ “আমার বাচ্চাটার কী দোষ ছিল বলুন তো?” থানার পুলিশ আধিকারিকদের কাছে এই প্রশ্নই করলেন তিনি ৷ গোটা ঘটনায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনেছে পূজার পরিবার ৷ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: