ধর্ষকের পক্ষ নেয়া প্রতিটি মানুষ'ই ধর্ষক
গত কয়েকদিন ধরে টিভি, রেডিও, ফেসবুক, ইন্টারনেটে শুধু ধর্ষণ আর ধর্ষণের চিত্রই যেন তুলে ধরা হচ্ছে। প্রতিবার একেকটি ধর্ষণের পর শুরু হয়, একে-অপরের প্রতি কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি। এক পক্ষ ধর্ষণের প্রতিবাদে ক্ষোভ ঝাড়ে। আরেক পক্ষ সরাসরি ধর্ষকদের পক্ষ না নিলেও, তাদের আসলেই দোষ আছে কিনা, তা নিয়ে পক্ষপাতিত্ব শুরু করে।
আমিও আলোচিত সেই স্বর্ণকারের ছেলের কাহিনির কথাই বলতে এসেছি। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে সাফাত ও নাঈম দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছিলেন। তাদের সাথে আরও তিনজন ছিলেন সহায়তাকারী।
প্রভাবশালী হবার ফলে এই ৫জন কে আটক করা হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও, এখন সে সন্দেহ অতীত। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে, অনেকে ধর্ষণের শিকার মেয়েদের জন্য নানা কৌতূহলী প্রশ্ন খুঁজে বের করছে। সর্বপ্রথম প্রশ্ন বের করা হল, কেন এই মেয়েরা ৪০ দিন চুপ করে ছিল? আগে কেন তারা কিছু বলতে আসেনি।
আচ্ছা, তারা এখন বলেও কি পাপ করে ফেলল? চুপ থাকলেই বুঝি ভাল হত?
আবার কারও কারও বিশ্লেষণ, তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তাই তারা একটু আধটু মজা করতেই পারে। এটি দুজনের সম্মতিতেই হয়েছে। প্রেমের সম্পর্কে বুঝি ধর্ষণ করা যায় না?
দুপক্ষের দর কষাকষিতে যেন ধর্ষণ শব্দটার সাথেই পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ চলছে। যারা এই ধর্ষণকে ধর্ষণ না বলে, মজা করার মাধ্যম বানিয়ে তুলছেন, তারা প্রত্যেকে একেকটা ধর্ষক। শুধু সময় ও সুযোগের অভাবে তারা এই অসৎ কাজ করতে পারছে না।
খোলা কলামে প্রকাশিত সব লেখা একান্তই লেখকের নিজস্ব মতামত। এর সাথে পত্রিকার কোন সম্পর্ক নেই।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: