সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ বন্ধসহ চার দফা প্রস্তাব

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০১৭, ০১:১৪ এএম

সাগর চৌধুরী
বিশেষ প্রতিনিধি

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে ‘আরব ইসলামিক আমেরিকান সামিটে’ যোগ দিয়ে শেখ হাসিনা তার লিখিত বক্তৃতায় বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ দমনে সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ বন্ধ করাসহ চার দফা প্রস্তাব করেন। সন্ত্রাসী বোঝাতে গিয়ে ইসলাম শব্দটি ব্যবহার করা যে উচিত নয়- সেই ঘোষণা দিতে সম্মেলনে উপস্থিত আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। 

এআইএ সম্মেলনে যোগদান ও ওমরাহ পালন শেষে মঙ্গলবার রাতে দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার । তিনি ‘আরব ইসলামিক আমেরিকান সামিটে’ যোগদান শেষে সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২৫ এ সৌদি রয়্যাল ফ্লিটের একটি উড়োজাহাজে করে মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ বিমানবন্দরে পৌঁছালে বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান সৌদি আরবের ডেপুটি প্রিন্স সৌদ বিন খালেদ আল ফয়সাল।

প্রধানমন্ত্রী মসজিদে নববীতে জোহরের নামাজ আদায় করে মহানবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (স.) এর রওজায় যান। সেখানে তিনি রিয়াজুল জান্নাতে নফল নামাজ পড়েন এবং জিয়ারত করেন; পরে মোনাজাতে অংশ নেন। রাতে মক্কায় ফিরে ওমরাহ পালন শেষে মঙ্গলবার দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার ।

৫৬ টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত সম্মেলন শেষে রোববার রাতে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, “সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথোপকথন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উনাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। উনি (ট্রাম্প) আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।” এসময় তার সাথে ব্রিফিং এ উপস্হিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম হেলাল ।

গত জানুয়ারিতে শপথ নেওয়ার পর এটাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফর। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এবারই প্রথম সাক্ষাত। 

সম্মেলনের ফাঁকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক এবং তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাখমনের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। তারা দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলাচনা করেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এই সামিটের মূল উদ্দেশ্য ছিল সবাই মিলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে চিহ্নিত করা; মূলমন্ত্র ছিল ‘টুগেদার উই প্রিভেইল’।

“আমরা সবাই যদি সম্মিলিতভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই, তাহলে এটা রোধ করা সম্ভব।” সৌদি আরবের নেতৃত্বে মুসলিম দেশগুলোর জোট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, “এই জোটের একটা মিলিটারি সাইড, আরেকটা পলিটিক্যাল। 

উল্লেখ্য, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত সোয়া ১১টার দিকে শেখ হাসিনা রিয়াদের কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে সৌদি আরবের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন ফয়সল আবু সাক এবং রিয়াদে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: