আ.লীগের আসাদুজ্জামান, নেতাশূণ্য বিএনপি

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০১৭, ০৮:২৩ পিএম

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় দেড় বছর বাকি। আর নির্বাচনকে সামনে রেখেই ভোটারদের মাঝে চলছে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা। ঢাকা মহানগরীর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ঢাকা-১২ আসনটি। বর্তমানে এই আসনটিতে সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের আসাদুজ্জামান খান। তিনি বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছে।

২০০৮ সালে এ আসনটিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এর সংসদ সদস্য ফজলে নুর তাপস আর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে  বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন লড়েছেন। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে আসাদুজ্জামান খান এ আসনের সংসদ সদস্য হয়। তার রাজনৈতিক দৃঢ়তা ও সততার পুরুস্কার হিসেবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সরকার প্রধান শেখ হাসিনা তাকে স্বরাষ্ট্রম ন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। এ আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল নিয়ে গঠিত। এর আওতায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন। জাতীয় সংসদ ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

জানা যায়, ২০০৮ সালে বিএনপি সর্বশেষ  নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলো। কিন্তু বর্তমানে এ আসনে বিএনপির কোন অবস্থান নেই। বিএনপির হয়ে আগামী নির্বাচনে কে লড়বেন সে ব্যাপারে সাধারণ মানুষও কিছু বলতে পারেনি। প্রকাশ্যে বিএনপি নেতারা না এসে কিভাবে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তা নিয়েও সন্ধিহান সাধারণ ভোটাররাও। বিএনপির নেতাদের গা বাঁচিয়ে চলার নীতিতে দলটির প্রতি মানুষের আস্থা কমে গেছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। সাধারণ মানুষও এ দলটিকে নিয়ে তেমন আলোচনা করতে রাজি নয়।

ফার্মগেটের ব্যবসায়ী মো. আলেফ খান বলেন, আমি এখানে প্রায় ১২ বছর ধরে ব্যবসা করছি। এলাকার পরিবেশ আগের যেকোন সময়ের থেকে অনেক ভালো। চলা ফেরা ব্যবসা বাণিজ্য সব নির্ভয়ে করা যায়। আমাদের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান খান মাটির মানুষ। ধনী-গরীব সকলের সঙ্গেই মিশেন। তিনি আমার মতো মানুষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গেছেন।

বিএনপির বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের নেতাকর্মী কাউকেই দেখা যায় না। আগামীতে তারা নির্বাচন করবে কি না তাও জানি না। তবে আমাদের এমপি সাহেব খুব ভাল কাজ করছেন। শান্তিতে ব্যবসা করছি। কোনো নেতা বা মাস্তানদের দাপট নেই এখানে।

চায়ের দোকানদার মো. মিজান জানান, আমি এখানে ২৫ বছর ধরে আছি। প্রায় ১৬ বছর ধরে এ ব্যবসা করি আগে তো অনেক চাদা দেওয়া লাগতো এখন তেমন দেওয়া লাগে না। ভালো ভাবে দোকান করতে পারছি। আর তা হলো এমপি সাহেবের দান। তিনি এমপি হওয়ার পর থেকে মাস্তানদের দাপট নেই, চাদাবাজি নেই সুখেই আছি। তবে ২০০৮ সালে বিএনপির হয়ে কে নির্বাচন করেছিলেন তা ভুলে গেছি। এখানে আমরা ব্যবসায়ীরা শান্তিতেই ব্যবসা করছি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভালো।

তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের তেমন কোনো ভাবনা নেই। ব্যবসায়ীরা দেশে অশান্তি চায় না। জ্বালাও পোড়াও চায় না। আমরা চাই শান্তিতে বাঁচতে।

তেজগাঁও কলেজ সংলগ্ন ফল ব্যবসায়ী আলী জানান, আমাদের এমপি আসাদুজ্জামান খান নিজের দায়িত্ব পালনে অনেক বেশি মনোযোগী । যদিও কোন দরকারে তার কাছে আমার যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। তবে যারাই গিয়েছে তাদের তিনি নিরাশ করেননি। এলাকাবাসীর যেকোনো সমস্যায় পাশে থাকার চেষ্টা করেন। আমাদের প্রতি তার আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই বলেই আমি বিশ্বাস করি।

নাম না বলার শর্তে এক বিএনপি নেতা বলেন, এলাকায় সন্ত্রাস আছে কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খলেনা। সামনের নির্বাচন যদি সঠিক ভাবে হয় তাহলে বিএনপি এ আসনসহ ক্ষমতায় আসবে বলে তিনি মনে করেন। এ আসনে কে নির্বাচন করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন তেমন কেউ সারা দিতে পারছে না নির্বাচন কাছে আসলে জানতে পারবেন।

অবস্থান: ঢাকা-১২ আসনটি ঢাকা শহরের ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ৩৫ ও ৩৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: