প্রেমিকের আত্মহত্যার চেষ্টা, প্রাণে বেঁচে গেল প্রেমিকা!

প্রকাশিত: ২৪ মে ২০১৭, ০৮:২৬ এএম

আত্মহত্যার জন্য বন্দুক নিজের কপালে ঠেকিয়েছিলেন ভিক্টর সিবন। বান্ধবী ব্রিটনি তাকে বাধা দিতে গিয়েছিলেন। এরপর দু’‌জনের ধস্তাধস্তির জেরে গুলি লাগে ভিক্টরের কপালে। কিন্তু মৃত্যু হয় বান্ধবীর। এই রহস্যের জট ছাড়াতে হিমসিম অবস্থা মার্কিন আদালতের।

এদিকে বান্ধবীকে হত্যার অভিযোগে এখন কাঠগড়ায় ভিক্টর। কিন্তু কিছুতেই তিনি মনে করতে পারছেন না ১৯ এপ্রিল রাত দুটোয় ঠিক কী হয়েছিল। আইনজীবীরাও জেরা করে নাজেহাল।

পুলিশ সূত্র জানায়, ২১ বছরের ভিক্টর সিবন আমেরিকায় তাঁর বান্ধবী ব্রিটনি মিয়া হেগের সঙ্গেই থাকতেন। কোনও কাজ না থাকায় বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ভিক্টর। ১৯ এপ্রিল রাতে মদ্যপান করে একটি বন্দুক নিয়ে বাড়িতে ঢুকেছিলেন তিনি। এই নিয়ে বান্ধবীর সঙ্গে বচসা হয় তার। রাগে বন্দুক কপালে ঠেকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।

হেগ যথারীতি তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন। বন্দুকটি ভিক্টরের হাত থেকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তির জেরে বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে ভিক্টরের কপাল ছুঁয়ে হেগের গলায় গিয়ে লাগে। কারণ ঘটনাস্থল থেকে একটিমাত্র গুলিই পেয়েছে পুলিশ।

গুলি তার কপাল ছুঁতেই ভিক্টর সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন, হেগ কিন্তু গুলি লাগার পরেও বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি করেন। প্রতিবেশীরা এসে দেখেন ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন ভিক্টর। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন হেগ। দু’‌জনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান প্রতিবেশীরা। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভিক্টর সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরলেও হেগ কিন্তু পরের দিন সকালেই মারা যান। আদালতে ভিক্টরকে সেদিনের ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, কিছুই মনে করতে পারছেন না। শুধুমাত্র বন্দুক কেনার কথা মনে রয়েছে তার।

তদন্তকারীরা আদালতকে জানিয়েছেন, সেদিন ভিক্টরের রক্তে অ্যালকোহলের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুণ বেশি ছিল। সেই কারণেই কিছু মনে করতে পারছেন না তিনি। হেগকে হত্যার ঘটনা প্রমাণিত হলে ৯৯ বছরের কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে ভিক্টরের।

১ কোটি ৬২ লক্ষ ১২ হাজার ৪৩৫ টাকায় জামিন মঞ্জুর করা হলেও তা দেওয়ার ক্ষমতা নেই বলে আদালতকে জানিয়েছেন তিনি। এমনকী কোনও আইনজীবীও তিনি রাখতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। এদিকে হেগের মা কিন্তু ভিক্টরের শাস্তি দাবি করেছেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: