খাল খনন ব্যহত হওয়ায় নাগরিকরা হতাশা

প্রকাশিত: ২৪ মে ২০১৭, ০২:০০ পিএম

বরগুনা পৌর শহরের আমতলা, নাথপট্টি-কাঠপট্টি, কড়ইতলা এবং শিবেরখাল খাল খননের কাজ বন্ধ লক্ষ্য করা গেছে। এই তিনটি খালের পাড়ে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে সঠিক মাপ দিয়ে খনন কাজ করার কথা থাকলেও কোনটিই সঠিক ভাবে করতে দেখা যায়নি। সঠিকভাবে খাল খনন ব্যহত হওয়ায় পৌর নাগরিকরা হতাশ হয়ে পড়েছে। যেনতেনভাবেই এর খনন কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় নাগরিকদের। উপকূলীয় শহর পরিবেশগত অবকাঠামো প্রকল্পের (সিটিআইপি) অধীনে কাজটি পেয়েছে ভোলা জেলার চরফ্যাশনের ইউনুস আল মামুন। এই প্যাকেজের আওতায় বরগুনা পৌরসভার ৪টি খাল খনন কাজ করার কথা।

শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং খাল অবৈধ দখল মুক্ত করে এর স্বাভাবিক পানি প্রবাহের জন্য এই খাল খনন কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে।এই খালটি সদর রোড থেকে কাঠপট্টি হয়ে মহিলা হোস্টেলের পাশ দিয়ে নাথপট্টি আদর্শ স্কুল পর্যন্ত গেছে। কিন্তু খালটির মধ্য থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে পারেনি বরগুনা পৌরসভা। খালের মধ্যে এক জামায়াত নেতার ঘরের অংশ রয়েছে। জাকারিয়া নামের একজনের ঘরের অংশ রয়েছে, এছাড়াও ডক্টরস্ কেয়ার হাসপাতালের পিছন থেকে আদর্শ স্কুল পর্যন্ত কোন মতে মাটি তুলে পাশে রাখা হয়েছে। এসব মাটি বৃষ্টি হলেই আবার তা গড়িয়ে পড়ে খাল ভরাট হয়ে যাবে খুব দ্রুত।

আমতলার এই খালটি সঠিকভাবে খননের দাবীতে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করেছিল। অথচো আজও খালটির প্রায় ৮০ভাগ কাজ এখনো করা হয়নি। খালটি গোডাউনের প্রান্ত থেকে কিছু অংশ কাটলেও অবৈধ উচ্ছেদ করতে পারেনি পৌরসভা। খালটির দক্ষিণ প্রান্ত থেকে কিছু অংশ খনন কাজ করা হয়েছে। অথচো ওই খালের পাড়েই বরগুনার সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং ক্ষমতাসীন নেতাদের বসতবাড়ি অবস্থিত। তাদের বাড়ির সামনে থেকেই খালটির বেহাল দশা হয়েছে। খালটি জঙ্গলে পরিণত হয়েছে এবং পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে এখন মৃত প্রায়। এ কারণে মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ছে এবং পঁচা দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে।

বরগুনা জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তা ব্যক্তিদের বাস ভবন এই কড়ইতলা খালের তীরে অবস্থিত। শিমুলতলা বৈশাখী মঞ্চের পিছন থেকে শুরু করে প্রথম বাড়িটি জেলা প্রশাসক, এরপর সিভিল সার্জন, এরপর জেলা ও দায়রা জজ বাহাদুরের বাস ভবন হয়ে কালিবাড়ি মন্দীর পর্যন্ত সঠিকভাবে কাটা হলেও পরবর্তী অংশ পূর্বের মতোই রয়ে গেছে। মজার ব্যাপার হলো, জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে থেকে সামান্য অংশ সঠিকভাবে খাল খনন করা হয়েছে ওই আদলেই সকল খাল খনন করার কথা ছিল। কালিবাড়ি মন্দীর থেকে পরবর্তী অংশ দখলের কারণে খাল কাটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এ খালটিরও সঠিক ভাবে খনন কাজ করা হয়নি। শিবেরখালের শুরুর দিকটা কিছুটা চওড়া হলেও শেষ প্রান্ত পর্যন্ত একেবারেই সরু হয়ে গেছে। ২১মে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে মাসিক উন্নয়ন সভায় পৌর মেয়র মো. শাহাদাত হোসেন এসব নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মূখীক হন। তবে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা করলেও প্রভাবশালীদের কারণে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় সঠিকভাবে খনন কাজ করতে পারেননি। এজন্য তিনি প্রশাসন সহযোগিতা কামনা করেছেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: