‘আমি আমার ঔষধের নাম পড়তে পারিনা’

প্রকাশিত: ২৪ মে ২০১৭, ০৬:৩০ পিএম

বাংলাদেশে সাধারণ জনসাধারণের জন্য আইন পাশ হয়, হাইকোর্টে রুল জারি হয় কিন্তু এর বাস্তবায়ন সহসা হয় না। আর হলেও কয়েকদিন থেকে আবার আগের রুপেই ফিরে যায়। সেই মোতাবেক হাইকোর্ট ডাক্তারদের উপর রুল জারি করেছিল যেন সুস্পষ্ট ও শুদ্ধভাবে তারা প্রেসক্রিপশন (ব্যবস্থাপত্র) লিখে। কারণ ব্যবস্থাপত্র ভুল বোঝার কারণে ভুল ঔষধ দ্বারা ক্ষতির সম্মুক্ষীণ হচ্ছেন অনেকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আগের মতই লেখা হচ্ছে প্রেসক্রিপশন।

আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ইতিমধ্যে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। এরপরও যদি কোনো চিকিৎসক দুর্বোধ্য ভাষায় ব্যবস্থাপত্র লিখেন তাহলে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগী বিএমডিসিতে অভিযোগ করতে পারবেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর সরকারি হাসপাতালে প্রেসক্রিপশন লেখা হচ্ছে আগের মতই। এ সময় রোগী ও তাদের সাথের স্বজনরা বলেন, যদি সহজ সরল ভাবে লিখে তাহলে আমরা বুঝি; আর ডাক্তাররা যে ভাবে লিখে তাতে বুঝিনা এর ভিতরে আসলে কি কি আছে। তবে কিছু প্রাইভেট হাসপাতালে দেয়া হচ্ছে কম্পিউটারে টাইপ করে।

'আগে বলা হতো ডাক্তারদের মতো না বুঝার মতো করে যখন তুমি লিখতে পারবে মনে করবে তখন তুমিও ডাক্তার'। কিন্তু এ দুর্বোদ্ধ লেখা জড়িত হয়েছে এখন ঔষধ কোম্পানির সাথে। রোগীরা বা তাদের আত্মীয়রাও পড়তে পারছেন না প্রেসক্রিপশনে যা লেখা থাকে। অনেক দোকানদার ও মাঝে মাঝে ভুল করে দিয়ে দেন অন্য ঔষধ। যখন ধরা হয় অন্য ঔষধ তখন তারা বলেন এগুলো একই ঔষধ তবে কোম্পানি ভিন্ন।

&dquote;&dquote;

হার্টের রোগী রুমা আক্তার বলেন, আমারে কি ঔষধ দিছে বলতে পারিনা। ফার্মেসিতে দেখাইলে তারা ঔষধ দিয়া দিবে। ভুল ঔষধ দেয় কিনা তা বলতে পারিনা কারণ লেখাতো বুঝিনা।

কালাম নামে একজন বলেন, আমরা সহসা ডাক্তারদের লেখা বুঝিনা কিন্তু ফার্মেসির লোকজন কেমনে বুঝে কে জানে? শুনছি তারাও নাকি ফার্মেসিতে বসার আগে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ নেন কিন্তু সবাই কি প্রশিক্ষণ নিয়ে ফার্মেসিতে বসে?

এক ফার্মেসি ওয়ালা বলেন, আমি আগে ৬ মাসের একটা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। তারপরে ফার্মেসি দিছি। তবে মাঝে মাঝে ডাক্তারদের লেখা দেখে বুঝতে কষ্ট হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আদালত রুল জারি করলেই হঠাৎ করে এর পরিবর্তন করা সহজ নয়। নৈতিকতা ও বিবেকবোধ কাজে লাগিয়ে সবার কাজ করতে হবে। কারণ প্রেসক্রিপশনের সাথে মানুষের জীবন জড়িত।

বিএসএমএমইউ’র একজন জুনিয়র চিকিৎসককে প্রতিদিন বহির্বিভাগের তিন শতাধিক রোগী দেখতে হয়। সকাল থেকেই রোগীদের ভির থাকে। দেড়ি হলে আবার রোগীরা বিরক্ত হয়ে যায়। সব মিলিয়ে ডাক্তারদেরও তাড়াহুড়া করতে হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: