সেই ছবি নিয়ে যা বললেন মাইনুল ইসলাম!

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০১৭, ১০:৪৯ এএম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সম্প্রতি একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। নুয়ে থাকা বৃদ্ধের ঘাড়ে আয়েশে বসে মুঠোফোনে কথা বলার ভঙ্গিতে থাকা ব্যক্তিকে মঠবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম বলে প্রচার করা হয়।

ভাইরাল হওয়া ছবিটি মূলত নেতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখছে সবাই। ছবির সঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য লিখে পোস্ট করছেন অনেকে। বিশেষ করে গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেল থেকে ছবিটি ছড়িয়ে পড়তে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

একজন বৃদ্ধের ঘাড়ে এভাবে বসে আয়েশি ঢঙে ছবি তোলার ঘটনাটি নিয়ে তুমুল হইচই পড়ে যায়। এখন পর্যন্ত ছবিটি নিয়ে মেতে আছে ভার্চুয়াল দুনিয়া। সবাই একবাক্যে মঠবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলামকে ধুয়ে দিচ্ছেন। আদতে ওই ছবির লোকটি ওই মাইনুলই কি-না, সেটি নিশ্চিত হওয়ার ধার ধারেনি কেউ। এ বিষয়ে জানতে বিডি২৪লাইভডটকম যোগাযোগ করে মঠবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলামের সঙ্গে।

&dquote;&dquote;

মাইনুল বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘ছবির লোকটি আমি নই। ছবির লোকটির থেকে আমি আরো মোটা এবং আমার ঠোঁটে তিল নেই ছবির লোকটির ঠোঁটে তিল আছে।’

বিষয়টি প্রথম কখন জানতে পারেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মাইনুল বলেন, ‘এক বন্ধুর মাধ্যমে বিষয়টি প্রথম জানতে পারি। ‘শেখ সেলিম’ নামক একটি ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা হয় ছবিটি।’

মাইনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ছবিটি দেখে আমি নিজেই হতভম্ব হয়ে পড়ি। আমার চেহারার সঙ্গে কিছুটা মিলে। তবে চুলের স্টাইল থেকে শুরু করে আরও কিছু জায়গায় অমিল রয়েছে। কিন্তু ওখানে যখন আমার নামটিই দেখি, তখন আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি।’

&dquote;&dquote;

এরপর মাইনুল মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন। তিনি আজ (শনিবার) সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ঢাকায় এসে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করবেন বলে তিনি জানান।

ছবির ব্যক্তি আপনি নন, তাহলে আপনার নাম কেন আসল বা কে ছড়াল, আপনার কোন শত্রু আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে মাইনুল জানান, ‘আমার কোন শত্রু নাই। তবে ছবির ব্যক্তির সঙ্গে আমার চেহারা প্রায় মিলে যাওয়ায় আমার এলাকার উৎসুক জনতাই আমার নাম প্রকাশ করে তারা ভেবেছিল ছবির ব্যক্তিটি আমি।’

এ ঘটনার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন মঠবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আবেগজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার কোনো শত্রু নেই। এভাবে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন না করে মেরে ফেললেও এতটা খারাপ লাগতো না।’

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: