রমজানের উদ্দেশ্য কি?

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০১৭, ০৩:৪৯ এএম

শুরু হচ্ছে সিয়াম সাধনার পবিত্র রমজান মাস। শুক্রবার দেশের কোথাও রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। শুরু হচ্ছে সিয়াম সাধনার রোজা। শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে তারাবীর নামাজ।

রোজার উদ্দেশ্য:
তোমাদের উপর রোজা সিয়াম সাধনা আবশ্যক করা হয়েছে যেমন আবশ্যক করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর যাতে তোমরা তাক্বওয়া পরহেযগারী অর্জন করতে পার। (আল-কুরআন।)

তাক্বওয়া কি:
আাব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন: তাক্বওয়ার অর্থ হচ্ছে আল্লাহর আদেশের আনুগত্য করা, তাঁর নাফরমানী না করা। আল্লাহকে স্মরণ করা, তাঁকে ভুলে না যাওয়া এবং তাঁর শুকরিয়া করা কুফরী না করা।

ওমর বিন আব্দুল আযীয রা. বলেন: তাক্বওয়া হচ্ছে আল্লাহ যা ফরয করেছেন তা পালন করা এবং তিনি যা হারাম করেছেন তা থেকে দূরে থাকা।
তাক্বওয়ার নীতি অবলম্বনকারীদের পরিচয় সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন:

১. এসব লোক তারাই যারা বলে, হে খোদা! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি, আমাদের অপরাধ মার্জনা কর, এবং আমাদের জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও। এরা ধৈর্যশীল, সত্যপরায়ন, বিনীত-অনুগত, আল্লাহর পথে ব্যয়কারী এবং রাতের শেষভাগে ক্ষমাপ্রার্থনাকারী। (আলেইমরান:১৬-১৭)

২. এসব লোক তারাই যারা সবসময়ই নিজেদের ধন-মাল খরচ করে, অভাবের অবস্থায়ই হোক কিংবা সচ্ছল অবস্থায়ই হোক; যারা ক্রোধকে হজম করে, অন্যান্য লোকদের অপরাধ ক্ষমা করে দেয়; এসব পুণ্যবানদের আল্লাহ ভালবাসেন।
আর যারা কখনো কোন অশ্লীল কাজ করে বসে কিংবা নিজেদের উপর জুলুম করে বসে আর আল্লাহর কথা স্মরণ হতেই তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে; আর আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ মার্জনা করেন! আর যারা জেনেশুনে নিজের অন্যায় কর্মের ওপর আঁকড়ে ধরে থাকে না।(আলেইমরান:১৩৪-১৩৫)

আত্মসমালোচনার শিক্ষা:
রাসূল সা. বলেছেন: যে রমজান মাসে ঈমান(বিশ্বাস) ও ইহতিসাব(আত্মসমালোচনা) সহকারে তার পূর্ববর্তী সব অপরাধ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
বন্ধুগণ! আমরা সারা জীবন সিয়াম পালন করে যাচ্ছি আর যাচ্ছি কিন্তু, পর্যালোচনা করে দেখেছি কি যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যে সব বিষয় পরিহার করতে বলেছেন সেসব বিষয় আমরা কতটুকু পরিহার করতে পারলাম আর যেসব গুণাবলীর কথা বলেছেন তার কতটুকু অর্জন করতে পারলাম? আর আমরা কি আল্লাহর প্রতি গভীর আস্থা ও বিশ্বাস থেকে রোজা পালন করছি নাকি সামাজিক রোজা পালন করছি? এসব মাপকাঠি দিয়ে আমি নিজকে যাচাই করে দেখতে পারি যে এই সিয়াম কি শ্রেফ উপবাস ও নিছক না ঘুমানো ; নাকি প্রকৃতই তাক্বওয়ার গুণ অর্জনে আমাকে সহায়তা করছে!

ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় আগামীকাল সেহরীর শেষ সময় ৩টা ৪০মিনিট, ইফতার ৬টা ৪৪ মিনিটে। এদিকে, আজ থেকে রোজা শুরু হয়েছে সৌদি আরব, ইরান লেবাননসহ কয়েকটি মুসলিম দেশে। প্রথম ইফতারের আয়োজনে সরগরম নিত্য পণ্যের দোকান ও খাবরের হোটেল। গতকাল থেকেই তারাবি নামাজ শুরু করেছে দেশগুলোর ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: