স্ত্রীকে হত্যার পর নিজের পুরুষাঙ্গ কাটলেন স্বামী!

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০১৭, ০৪:৩১ পিএম

পারিবারিক কলহের জের ধরে নাটোরের গুরুদাসপুরে রোকেয়া বেগম (৩২) নামের এক গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামী শফিকুল ইসলাম শফিক (৩৮) নিজেই নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছেন। নিহত রোকেয়া বেগম উপজেলার বেরগঙ্গারামপুর গ্রামের মৃত জেকের আলী প্রামানিকের মেয়ে আর শফিকুল ইসলাম একই উপজেলার রানীনগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যা রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পাওয়ায় ঘটনাস্থল থেকে রাত দুই টার সময় নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় স্বামী শফিকুল ইসলামকে রাত ১২টার দিকে ওই গ্রামের জামে মসজিদের ভিতর টিয়ার গ্যাস ও ধোঁয়া নিক্ষেপের মাধ্যমে আটক করা হয়। তবে এসময় তার পুরুষাঙ্গা কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গুরুদাসপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, শনিবার সন্ধ্যার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে রোকেয়া বেগম ও শফিকুলের মধ্যে কলহ শুরু হয়। একপর্যায়ে শফিকুল ইসলাম ঘরের ভেতর থেকে বড় একটি ছুরি এনে রোকেয়াকে কোপাতে থাকেন। প্রাণ বাঁচাতে রোকেয়া দৌড়ে বাড়ির বাইরে চলে যান। সেখানেও তাঁকে এলোপাতাড়ি ভাবে ওই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন শফিকুল। এতে ঘটনাস্থলেই রাকেয়া মারা যান। পর ওই ঘটনার পর গ্রামবাসী তাকে ধাওয়া করলে দৌড়ে গিয়ে শফিকুল দরজা- জানালা বন্ধ করে মসজিদে আশ্রয় নেন।

এসময় গ্রামবাসী তাকে ঘিরে রেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটকের চেষ্টা করেন। কিন্তু কোন ভাবেই তারা মসজিদের ভিতর থেকে তাকে বের করতে পারার যাচ্ছিল না। পরে উর্ধতন কর্তৃপক্ষেও নির্দেশে মসজিদের ভিতরে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও ধোঁয়া দেওয়ার পর রাত ১২ টার দিকে শফিকুলকে আটক করা হয়। তবে এই সময় শফিকুল ইসলামের পুরুষাঙ্গ কাটা ও রক্তক্ষরণ অবস্থায় পাওয়া যায়। মসজিদে থাকা অবস্থায় শফিকুল ইসলাম মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে নিজেই নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছেন।

ওসি জানান, এই অবস্থায় তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাকে । তিনি আরো জানান, শফিকুল ইসলাম মানসিক বিকারগ্রস্ত। বিয়ের পর থেকে মাঝে মধ্যেই স্ত্রীর সাথে ঝগড়া-বিবাদ হতো। এই দম্পতির দুই বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।

এই ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ভাই আকবর আলী রোববার ( ২৮ মে) সকালে বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় মামলা রুজু করেছেন। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: