ছাত্রী উত্ত্যক্ত ঘটনায় বাবাসহ চারজনকে কুপিয়ে জখম

প্রকাশিত: ৩০ মে ২০১৭, ০৩:৪৩ পিএম

নাটোরের গুরুদাসপুরে এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তকারিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করায় ছাত্রীর বাবাসহ চারজনকে কুপিয়ে জখম করেছে উত্ত্যক্তকারী ও তাদের সহযোগীরা। গতকাল সোমবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার নাজিরপুরে বাদীর বাসায় ঢুকে ওই ঘটনা ঘটায় তারা।

গুরতর আহতরা হচ্ছেন, ওই ছাত্রীর বাবা মাহফুজুর রহমান ওরফে বাবুল (৩৬), চাচা ব্যাংকার বেলাল হোসেন (৩২) ও মুক্তার হোসেন (৪০) ও বাবুলের বাবা  সাবুদল ইসলাম (৮০)। এদের মধ্যে গুরতর অবস্থায় বেলালকে  রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যদের নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে গত বৃহষ্পতিবার বিকালে ছাত্রীর বাবাকে শালিসের কথা বলে ডেকে নিয়ে নাজিরপুর বাজারে একটি চায়ের দোকানে শারীরিক নির্যাতন করে উত্ত্যক্তকারীরা।

আহতদের পরিবারের পক্ষে কলেজ শিক্ষক আলামিন হোসেন জানান, তাদের ভাতিজি নাজিরপুর উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী (১৪)  চলতি পথে উত্ত্যক্ত করে আসছিল একই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু। বিষয়টি উত্ত্যক্তকারি ছাত্র নুরুর বাবা আব্দুল হককে তাঁর বাড়িতে মৌখিকভাবে জানান ওই ছাত্রীর বাবা বাবুল। এক পর্যায়ে আব্দুল হক শান্তিপুর্ণ সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বিদায় করেন ছাত্রীর বাবাকে। পরে নাজিরপুর বাজারের নিজাম উদ্দিনের চায়ের দোকানে বিষয়টি সূরাহ করতে হাজির হন ছেলের বাবা আব্দুল হক ও তার সমর্থক জয়নাল আবেদীন (৫০) আশরাফ হোসেন (৪৫) মিজানুর রহমান (২৫) মিল্টন (২২) ও বাবু (২২)। সেখানে এসে উল্টো ছাত্রীর বাবা বাবুলকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে তারা।

ওই ঘটনায় শুক্রবার রাতে ছাত্রীর বাবা মাহফুজুর রহমান ওরফে বাবুল (৩৬) বাদী হয়ে  মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছেলের বাবা আব্দুল হক ও তার সমর্থক  জয়নাল আবেদীন (৫০) আশরাফ হোসেন (৪৫) মিজানুর রহমান (২৫) মিল্টন (২২) ও বাবু (২২)সহ নয় জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রোববার রাতে মামলাটি নথিভুক্ত করেন।

মামলা রেকর্ড হওয়ার খবর পেয়ে মামলার আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে সোমবার রাতে ছাত্রীর বাড়িতে ঢুকে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে মেয়ের বাবাসহ ৪জনকে আহত করে। মেয়ের চাচা কলেজ শিক্ষক আলামিন অভিযোগ করেন পুলিশের গাফিলতির কারনে ফের তাদের পরিবারের সদস্য নির্যাতনের শিকার হলো। 

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস বলেন, আসামী গ্রেপ্তারে কোন গাফিলতি হয়নি। মূলত মামলার আসামী আয়নাল হোসেনকে বাদী পক্ষের লোকজন গতকাল সোমবার মারধর করায় আসামী পক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ফের হামলা চালিয়েছে। পুলিশ নাজিরপুর বাজারে অবস্থান করছে। আসামীদের ধরতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।

নাজিরপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন বলেন, বিস্তারিত জেনে-শুনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মাঝে ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকার সুযোগে এধরনের (ইভটিজিং) কর্মকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: