জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে চীনা বাদাম চাষ

প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০১৭, ০৮:৩৯ এএম

শাহ্ আলম শাহী,
দিনাজপুর থেকে:

দিনাজপুরের খানসামায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে চীনা বাদাম চাষ । অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে চীনা বাদামের চাষ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে অঞ্চলে। এবার চীনা বাদামের ফলন হয়েছে আশাতীত । বাজারে ভালো দাম ও চাহিদা থাকায় বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছ চাষিরা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে ১৯ হেক্টর জমিতে মাইচ্চর (ঢাকা-১) এবং হাইব্রিড জাতের চীনা বাদাম চাষ করা হয়েছে। এর আগে গত দু’বছরে বাদাম চাষ হয় ১৪ হেক্টর জমিতে। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বহুল পরিচিত, বহুল খাদ্যের সমপুরক ও একাধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চীনা বাদাম উপজেলার টংগুয়া, গোবিন্দপুর, সুবর্ণখূলী, আঙ্গারপাড়া, পাকেরহাট ও ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে জনপ্রিয়তার সাথে চাষ হচ্ছে। চাষীরা গম, ভুট্টা, করলা, পটল ও অন্যান্য ফসল চাষের পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে চীনা বাদাম চাষ করছে। চলতি মৌসুমে চীনা বাদামের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষকৃত এসব ক্ষেতে সন্তোষজনক ফলন হয়েছে। বর্তমানে বাদাম তোলার কাজ চলছে।

আঙ্গারপাড়া গ্রামের বাদামচাষী রবিউল ইসলাম জানায়, প্রতি বিঘা জমিতে চীনা বাদাম উৎপাদনে হালচাষ, সার, সেচ, পরিচর্যা ও অন্যান্য বাবদ গড় খরচ হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার ৭০০ টাকা। প্রতি বিঘায় ফলন আসবে প্রায় ১১ মনের মত। কাঁচা অবস্থায় প্রতি কেজি পাইকারী দরে যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২৭ হাজার ৫০০ টাকা। আর উৎপাদন খরচ দিয়ে মুনাফা হবে প্রায় ১৩ হাজার টাকার মত। তিনি ছাড়াও ওই এলাকার নজরুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, ফরহাদ হোসেন, সাপিয়ার রহমান, আজিজুল ইসলাম ও সফিকুল ইসলাম সহ অনেক চাষি আগ্রহ সহকারে এসব বাদাম চাষ করছেন। উঁচু ধরণের জমিতে ব্যয় বহুল ফসলের চেয়ে স্বল্প খরচে চীনা বাদাম চাষ করা লাভজনক বলে চাষিরা উল্লেখ করেন।

উপজেলা সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মজিবর রহমান জানান, এক জমিতে বার বার একই ফসল চাষ করলে উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পায়। তাই মাঝে মধ্যে রদবদল করে ফসল করতে হয়। এ ক্ষেত্রে অন্যন্যা ফসলের মত সম্ভাবনাময় ফসল হিসেবে চীনা বাদাম চাষ হচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: