নবাবগঞ্জে প্রতিনিয়ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ 

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০১৭, ০৬:৩৬ পিএম

শামীম হোসেন সামন
নবাবগঞ্জ থেকে:
বর্তমান সরকারের অর্জিত সাফল্যের তালিকায় বিদ্যুৎখাত থাকলেও ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় চলছে বিদ্যুৎ অফিসের তেলেসমাতি খেলা। উপজেলা সদরে সরকারী অফিস থাকায় এখানে তেমন একটা লোডশেডিংয়ের বালাই না থাকলেও নবাবগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে প্রতিদিন পালাকরে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন সময় পার করতে হয় সাধারণ মানুষকে। এরফলে কৃষক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক চালক ও রিকশা চালকসহ শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

গত ২৪ মে দোহার ও নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের আয়োজনে সন্ত্রাস ও মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরোধী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় নবাবগঞ্জ পাইলট বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে।
এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক মহিলা ও শিশু বিসয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারীখাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

অনুষ্ঠান শুরুর ২০ মিনিটের মধ্যেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এই যদি হয় বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্ব বোধ তাহলে সাধারণ মানুষের বেলায় কি অবস্থা হতে পারে। এমনি প্রশ্ন এলাকাবাসীর সংশ্লিষ্ঠ বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের কাছে।

গত ৭ জুন উপজেলার উলাইল গ্রামের আহাদির পুত্র গরিব কৃষক সিদ্দিকের একটি গাভি গরু মেলেং অভিযোগ কেন্দ্রে কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারনে পায়ে তার জড়িয়ে পুড়ে মারা যায়। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।

উপজেলার সিংজোর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী যার হিসাব নং ১২০-৪৯৪২-১১৮৬৮ অভিযোগ করেন, গত ৪ মাস হলো মেলেং অভিযোগ কেন্দ্রের কর্মকর্তার মাধ্যমে মিটার পরির্বতন করার আবেদন করেছি কিন্তু মিটার পাচ্ছি না।

পাড়াগ্রামের বাসিন্দা মো. আসাদ বলেন, কিছু দিন আগে ঝড়ে বিদ্যুতের খুটি থেকে তার ছিড়ে সংযোগ বিছিন্ন হলে। পূনরায় সংযোগ দিতে বিদ্যুতের লোকজন ৩ দিন সময় পার করেন। যা একটি বিরল ঘটনা।

তিনি আরো বলেন, পবিত্র রমযান মাসে ইফতারের ৫/৭ মিনিট আগে বিদ্যুৎ চলে যায়। বিষয় টা খুবই বিরুক্তিকর। সামান্য বাতাস ছাড়লেই বিদ্যুৎ চলে যায়। কোন কারনে অভিযোগ কেন্দ্রে গ্রাহকরা ফোন করলে ফোন রিসিভ করে কথা বলেন না অভিযোগ কেন্দ্রের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এমন অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মাঝে মধ্যে ভুতরে বিল যোগকরে দেয়া হয়। এর ফলে একজন গ্রাহকের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়। এমন একজন গ্রাহকের খোঁজ পাওয়া গেছে যার গ্রামের বাড়ি যন্ত্রাইল। নাম নুরইসলাম। তিনি অভিযোগ করেন, তার মে মাসে বিদ্যুৎ বিল গেছে ১১ হাজার দুইশত ১৫ টাকা। গত মাসে ছিলো ৫শত টাকা। তার হিসাব নং ০২-০৭৪-৭৩২১ শিল্প (জিপি) এতবিল কিভাবে হলো তিনি জানেন না।

বান্দুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামসুল হক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেত্বত্রে মহাজোট সরকার কৃষি ও বিদ্যুৎখাতের উন্নয়নে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। কতিপয় বিদ্যুৎবিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য তা ম্লান হতে পারে না।

তিনি নবাবগঞ্জ পল্লিবিদ্যুৎ অফিসকে দালাল মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও বিদ্যুৎমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

ঢাকা পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার (চলতি) মো.আলমগীর মুঠোফোনে বলেন, দালালের বিষয়টি আমার জানা নেই। অন্যান্য বিষয় গুলোর সমস্যা খুব শীঘ্রই সমাধান হবে আশাকরি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: