দূষিত বাতাস দূর করবে ইনডোর প্ল্যান্ট

প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০১৭, ১০:৪৮ পিএম

বারান্দা আর ছাদের পাশাপাশি যদি ঘরের মাঝেও কয়েকটা ছোট্ট সুন্দর গাছ রাখা যায়, তবে আপনার ঘরের সৌন্দর্য অনেকটা বেড়ে যাবে। আর আপনি পাবেন ঘরের মাঝে একটি সতেজ পরিবেশ।

যেসব গাছ ঘরে রাখলে তাদের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয় না, মূলত তাদেরই ইনডোর প্লান্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। ইনডোর প্লান্ট ঘরের দূষিত বাতাস দূর করতেও কাজে আসে। তবে ঘরে কি ধরণের গাছ পরিচর্যা করবেন, আসুন জেনে নেয়া যাক-

১. পিস লিলি:
পিস লিলি নামে পরিচিত এই ইনডোর প্লান্টটি সর্বোচ্চ ৩ ফুট উচু হয়ে থাকে আর ২ ফুট বিস্তৃত থাকে। এর জন্য ঘরের কম আলোর এবং বেশি আর্দ্রতাপুর্ণ অঞ্চলের প্রয়োজন হয়।

২.স্পাইডার প্ল্যান্ট:
স্পাইডার প্লান্ট (Spider plant) ইনডোর প্লান্ট এর মাঝে অন্যতম। নাসা’র (National Aeronautics and Space Administration NASA) মতে এই গাছ ঘরের শতকরা ৯০% দূষিত বাতাস বিশুদ্ধ করে। স্পাইডার প্লান্টের উৎপত্তিস্থল সাউথ আফ্রিকায়। এই গাছের বোটানিকেল নাম Chlorophytum composing । সরু এই গাছটি সাধারণত ৮/১০ ইঞ্চি লম্বা হয়। পাতার রং সবুজের মধ্যে সাদা ডোরা কাটা। তবে মাঝে মাঝে শুধু সবুজও হয় । গাছ থেকে বের হয় ছোট ডাল, ডালের মাথায় ফুটে সাদা সাদা ফুল। ফুল থেকে হয় ছোট্ট চারা গাছ।

৩. স্নেক প্ল্যান্ট:
পাতার আকৃতির জন্যই এই ধরনের নাম রাখা হয়েছে গাছটির। এটি এক ধরনের বাহারি গাছ। খুব অল্প আলো আর সমান্য পানি পেলেই এরা বেঁচে থাকতে পারে। এই গাছ যদি ঘরে রাখা যায়, তা হলে ঘরে অক্সিজেনের ঘাটতি হবে না। নাসার বিজ্ঞানীরা একটি সমীক্ষা করে দেখেছেন, ঘরের ভিতর এই গাছ রাখলে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এবং ফর্ম্যালডিহাইডের মতো ক্ষতিকারক গ্যাসকে শোষণ করে ঘরকে দূষণমুক্ত রাখে।

৪. মানি প্ল্যান্ট:
এই গাছে টাকা ধরে না। তবে ঘরের দূষিত বাতাস দূর করতে সাহায্য করে। ফ্রিজ কিংবা অন্যান্য যন্ত্র যা থেকে সিএফসি গ্যাস নির্গত হয় এবং অফিসের ফটোকপি ও প্রিন্টার হতে যে ওজোন গ্যাস নির্গত হয় তা আমাদের বুকে ব্যথা এবং গলার খুসখুসে কাশির জন্য দায়ী। প্যান ষ্টেটের গবেষকদের মতে, বাসাবাড়ি এবং অফিস রুমে মানি প্ল্যান্ট রাখলে এটি ক্ষতিকারক সিএফসি এবং ওজোন গ্যাস শুষে নিয়ে আমাদের রক্ষা করে। গাছটি সংগ্রহ এবং রক্ষনাবেক্ষণ করাও খুব সহজ, কারো সংগ্রহ থেকে কিছুটা আপনি ছিঁড়ে এনে একটা পাত্রে কিছু মাটি দিয়ে লাগাতে পারেন অথবা শুধু পানিতেও এই গাছটি খুব সহজেই বেড়ে ওঠে, খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন পড়ে না।

৫. এলোভেরা:
রূপচর্চা থেকে শুরু করে চুলের চর্চা পর্যন্ত প্রায় সব কিছুতেই এর জয়জয়কার। এমনকি ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ করতেও এলোভেরার অবদান রয়েছে। এটি বাতাসে থাকা বেনজিন, ফরমালডিহাইড দূর করতে খুব কার্যকরী। তবে এলোভেরা সম্পর্কে একটি মজার তথ্য হচ্ছে যখন বাতাসে থাকা ক্ষতিকর কেমিকেলের পরিমাণ খুব বেশি বেড়ে যায় তখন এর পাতায় ছোট ছোট বাদামি দাগ পড়ে যায় যার মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার ঘরে থাকা বিষাক্ত পদার্থের মাত্রা বুঝে নিতে পারবেন। এলোভেরার যত্ন বিষয়ে একটি কাজ অবশ্যই করতে হবে, আর সেটি হচ্ছে একে সূর্যের আলোতে রাখতে হবে। কারণ পর্যাপ্ত সূর্যের আলোতেই এলোভেরা সবচেয়ে ভালো মতো বেড়ে উঠে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: