সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহরের দাবিতে জাবি প্রেস ক্লাবের মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০১৭, ০৫:৪০ এএম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নিজস্ব প্রতিবেদক (অপরাধ বিভাগ) গোলাম মুজতবা ধ্রুবর বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় এক বিচারকের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব। 

১৫ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশের পাদদেশে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে কালের কণ্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি তানজিদ বসুনিয়া বলেন,‘বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে সংবাদ প্রকাশের পরও যখন একজন সাংবাদিককে ৫৭ ধারায় হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয় তখন বোঝা যায় মামলার মাধ্যমে তিনি শুধু ওই সাংবাদিককেই নয় বরং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে গলা টিপে হত্যা করার একটি প্রয়াস চালিয়েছেন। সাংবাদিকরা আজ সবক্ষেত্রেই কাজ করতে গিয়ে বাধাঁর সম্মুখীন হচ্ছেন যা খুবই দুঃখজনক একইসাথে শঙ্কার।’ এসময় গোলাম মুজতবা ধ্রুব’র বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। দৈনিক জনকণ্ঠের বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিনিধি দীপঙ্কর দাসের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা অংশগ্রহন করেন। 

তিনি বলেন,‘বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পরও সাংবাদিকদের এ ধরনের মামলার মাধ্যমে হয়রানি করার অর্থ সাংবাদিকদের হাতে শেকল পরানো। সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধে ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি জানাই’। এসময় ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক নজীর আহমেদ জয়, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেইনসহ ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১১ জুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ‘একটি অসুস্থ শিশু, বিচারকের ট্রাক ও একটি মামলা’ শিরোনামে একটি সংবাদটি প্রকাশিত হয় যাতে মানিকগঞ্জে বিচারক মাহবুবুর রহমানের বাড়ি বদলের ট্রাকের কারণে একটি অসুস্থ শিশুকে হাসপাতালে নেওয়ার পথ আটকে যাওয়ার কথা বলেন স্থানীয়রা। ওই সংবাদ প্রকাশের দু’দিন পর মঙ্গলবার মানিকগঞ্জ সদর থানায় জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: