তামার পাত্রে পানি পানের উপকারিতা!

প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০১৭, ১০:৫০ পিএম

জলের মধ্যে থাকা লক্ষাধিক মাইক্রোঅর্গেনিজম, মোল্ড, ফাঙ্গাস এবং ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলতে তামার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে তামার একাধিক গুণাগুণ জলের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করার ফলে কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

তামায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা একদিকে যেমন ক্যান্সার বিরোধী, তেমনি অন্যদিকে শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বের করে দিতেও সাহায্য করে। তাই তো প্রতিদিন কম করে ২-৩ গ্লাস জল তামার গ্লাসে রেখে পান করা চাইই-চাই।

আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র অনুসারে প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে তামার গ্লাসে রাখা জল পান করলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তামার গ্লাসে জল খেলে আরও উপকার পাওয়া যায়। যেমন...

&dquote;&dquote;

১। হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটেঃ তামার এমন কিছু গুণ রয়েছে যা পাকস্থলীতে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। ফলে আলসার, বদহজম এবং স্টমাক ইনফেকশনের মতো রোগ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। স্টমাকে জমে থাকা ক্ষতিকর টক্সিনদের বের করে দেওয়ার পাশাপাশি লিভার এবং কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়াতেও দারুন কাজে আসে তামা।

২। ওজন হ্রাসে সাহায্য করেঃ তামার গ্লাসে জল খাওয়ার অভ্যাস করলে একদিকে যেমন হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে, তেমনি শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বিও ঝড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মেদ কমতে থাকে।

৩। ত্বকের বয়স কমতে থাকেঃ এই ঘরোয়া পদ্ধতিটির সাহায্য নিলে বলিরেখা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে টক্সিক উপাদানেরাও শরীরের আর কোনও ক্ষতি করতে পারে না। ফলে বয়স বাড়লেও ত্বক এবং দেহের উপর এর কোনও প্রভাব পড়ে না।

৪। ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমেঃ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হল ক্যান্সার বিরোধী। তাই শরীরে যত অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ বাড়তে থাকবে, তত দূরে পালাবে ক্যান্সার রোগ। এক্ষেত্রে প্রতিদিন তামার গ্লাসে জল খেলেই হবে। কারণ তামায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা জলের সঙ্গে মিশে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে কোষেদের বিভাজন ঠিক রাখে। ফলে দেহের ভিতর কোষের অস্বাভাবিক বিভাজন হয়ে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: