প্রাইভেট পড়ানোর সময় ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করলো শিক্ষক!
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে মামলা করা হয়েছে। এদিকে মামলা করে বিপাকে পড়েছে নির্যাতিত ছাত্রী ও তার পরিবারটি। মামলা তুলে নিতে ছাত্রীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্কুলে যাতায়াতের পথে এসিড নিক্ষেপ করে ছাত্রীর চেহারা ঝলসে দেয়ারও হুমকি দিচ্ছে। যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক বিশ্বজিৎ গোস্বামীর (রতন) ভাড়া করা বখাটেরা ওই ছাত্রী ও তার পরিবারকে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত হুমকিদাতারা হলেন- ধামরাইয়ের রাজাপুর গ্রামের মো. তোতা মিয়ার ছেলে মো. শাহিন, মো. আওলাদ হোসেনের ছেলে হুমায়ুন এবং একই গ্রামের আরিফ মোল্লার ভাগিনা মো. রুবেল। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বড় ভাই পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সাটুরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (৬৪৮নং) করেন।
জানা গেছে, গত ১১ মে উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে বিশ্বজিৎ গোস্বামী (রতন) নামের ওই স্কুল শিক্ষক নিজের বাসায় প্রাইভেট পড়ানোর সময় ৮ম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন। ঘটনার পর ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে তার পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা প্রথমে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
পরে ১৬ মে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে শিক্ষক বিশ্বজিৎ গোস্বামীর বিরুদ্ধে সাটুরিয়া থানায় নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।
এদিকে মামলার এক মাসেও অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের এ রহস্যজনক ভূমিকা নিয়ে এলাকায় নানা সমালোচনা শুরু হয়।
শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটি অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
এছাড়া এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন চেয়ে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়েছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার পর থেকে শিক্ষক বিশ্বজিৎ পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
নির্যাতিত ওই ছাত্রী বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে আপস না করলে আমার ও আমার পরিবারের বড় ক্ষতি হবে বলেও হুমকি দেয়া হচ্ছে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: