গার্মেন্টস কর্মীকে পদ্মার চরে নিয়ে গণধর্ষণ

প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০১৭, ০৯:৩৪ পিএম

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের পদ্মার চরে নিয়ে এক গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণ করেছে স্পিডবোট চালক ও তার সহকারী। পাচঁশ টাকা নোটের ভাংতি না থাকায় মেয়েটিকে নিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে পদ্মার চরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে তারা।

রবিবার মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটে এবং সোমবার দুপুরে এই ঘটনায় তরুণী নিজে বাদী হয়ে লৌহজং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইউনুচ আলী জানান, রোববার রাত ১০টায় তরুণী তার স্বামীর বাড়ি বরিশালের কাউনিয়া উপজেলার পলাশপুর গ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। ফেরিতে করে লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে আসার জন্য রাত ১২টা নাগাদ তিনি কাঠালবাড়ি ঘাটে এসে পৌঁছান। ফেরিটি দেরি করায় ওই গার্মেন্টসকর্মীসহ আরো কয়েকজন কাঠালবাড়ি ফেরি ঘাট থেকে একটি স্পিডবোটে উঠে পদ্মা পাড়ি দেয়। স্পিডবোটটি শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছলে অন্য যাত্রীরা তাদের নির্ধারিত ভাড়া দিয়ে নেমে যান। পাচঁশ টাকা নোটের ভাংতি না থাকায় মেয়েটিকে দেরি করায় স্পিডবোট চালক ও আরো একজন যুবক। লোকজন দূরে চলে গেলে স্পিডবোট চালক সেটিকে ঘুরিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে পদ্মার চরে যায়। সেখানে তাকে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে চড় থাপ্পড় মেরে চরে নামিয়ে ধর্ষণ করে তারা।

অন্যদিকে, রাত আড়াইটায় মেয়েটিকে শিমুলিয়া ঘাটে নামিয়ে দিয়ে ধর্ষক দু’জন স্পিডবোটটিকে ঘাটে রেখে পালিয়ে যায়। মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় এক রিকশাচালক লৌহজং থানায় নিয়ে আসে। লৌহজং থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাদা রঙ্গের স্পিডবোটটিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।

শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় লৌহজং থানায় গণধর্ষণের একটি মামলা লৌহজং থানায় দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আসামীকে আমরা সনাক্ত করেছি, গ্রেফতার করতে একাধিক অভিযান পরিচালনা করছি। আলামত হিসাবে স্পীডবোর্টটি জব্দ করেছি। ঘাট ইজারাদার আশরাফকে বোট চালকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে।

তিনি জানান, ধর্ষক স্পিডবোট চালক লৌহজংয়ের কুমাভোগ ইউনিয়নের ওয়ারী গ্রামের মজিদ কম্পানীর ছেলে রাজিব কম্পানী অপরজন উপজেলার মেদিনীমন্ডল ইউনিয়নের কান্দিপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক শিকদারের ছেলে মিঠু শিকদার।

এদিকে দুপুর ২টা ৩০ দিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তরুনীকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: