ঈদ হবে না বরগুনার জেলে পরিবারে

প্রকাশিত: ২০ জুন ২০১৭, ১০:৫২ এএম

আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে রাজধানীর বিলাসবহুল শপিং কমপ্লেক্সগুলোতে যখন কেনাকাটার ধুম ঠিক তখন অভাব অনটন আর জোয়ার জলোচ্ছাসে দৃশ্যমান সাগর পাড়ের দরিদ্র জেলে পল্লী। ভরা মৌসুমেও দেখা নেই ইলিশের। এ অবস্থায় ঈদের আনন্দ তো দূরের কথা দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন যোগাতেই হিমশিম অবস্থায় মৎস্য নির্ভর সাগর উপকূলের লক্ষাধিক জেলে পরিবারের।

&dquote;&dquote;

তবে জেলা মতস্য অফিসারের দাবি মাছের দেখা মিললেই ঘুরে দাড়াতে পারবে জেলেরা। আমাদের বরগুনা প্রতিনিধি তরিকুল ইসলাম -এর রিপোর্ট।উপকূলীয় জেলা বরগুনার পাথরঘাটা ও তালতলীর বলেশ্বর যেখানে সাগরে মিশেছে ঠিক সেখানেরই একটি গ্রামের নাম ডালভাংগা। এ গ্রামের অধিকাংশ অধিবাসীই দরিদ্র জেলে। সাগরে মাছ না পড়ায় গত দু’মাসে একটি টাকাও রোজগার নেই জেলেদের।

গৃহস্তালি কাজ আর সন্তান লালন পলন করার পাশাপাশি এখন সন্তানের মুখে অন্ন তুলে দেবার কাজটিও করতে হয় গৃহবধুদের। কিন' ঘরের চাল ফুরিয়ে আসার সাথে সাথে শিশুদের নিয়ে অজানা শঙ্কায় দিন পার করছেন তারা। আর আসন্ন ঈদুল ফিতর নিয়ে বাড়তি ভাবনা যোগ হয়েছে তাদের। জমিজমা না থাকায় মাছধরা ছাড়া বিকল্প কোন কাজেরও সুযোগ মিলছে না এসব দরিদ্র জেলেদের।

&dquote;&dquote;

তারপরে বাড়তি ঋনের কিস্তি যোগাড় করতে হিমসিম খেতে হয় তাদের। ট্রলার নৌকা নামাতে ধারদেনা ও এনজিও ঋন নিয়ে মাছ ধরার সরঞ্জামাদি যোগাড় করে নদিতে নামেন। কিন্ত ভরা মৌসুমেও উপকূলে ইলিশের দেখা নেই। গভীর সাগরে মাঝে মাঝে কিছু ইলিশের দেখা মিললেও উপকূলীয় জেলেদের নৌকা ও ট্রলারে ধরা পরছেনা কোন ইলিশ। ফলে চির দারিদ্রের মোটা জাল ছিড়ে বেরিয়ে আসতে পারে না এখানকার জেলেরা।

পাশাপাশি বাড়তি ঋনের কিস্তির টাকা জোগার করার চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ে যাচ্ছে এসব জেলেদের। ঘরে বাচ্চারা বায়না ধরে আছে ঈদের জামা কাপড় ও সন্তানের ঈদের বায়না মেটাতে হিমশিম খাওয়া এসব জেলেদের ভরসা এখন সাগরের মাছ অথবা সরকারী-বেসরকারী যেকোন প্রকার সহযোগীতা। জেলেদের এ দুর্দশার কথা জানিয়ে সরকারি ১০ কেজি ভিজিএফ চাল দিয়ে জেলেদের সামান্য সহায়তা করার আশ্বাস ইউপি চেয়ারম্যানের। সট: আলাউদ্দিন পল্টু, ইউপি চেয়ারম্যান কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদ, পাথরঘাটা বরগুনা। ঘূর্নিঝড় মোরার সামান্য আগে থেকেই ইলিশের দেখা নেই সমুদ্রে। তবে মাছের দেখা মিললে জেলেরা ঘুরে দাড়াতে পারবে জানালেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, বরগুনা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: