ফুটপাত ব্যাংকে জমজমাট ব্যবসা

প্রকাশিত: ২১ জুন ২০১৭, ০৯:০৪ পিএম

সোহরাব মাহাদী,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:

মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর আবারও দড়জায় কড়া নাড়ছে। ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে দেশের শপিং মল গুলো। জামা-জুতার বাজারের মতোই জমে উঠেছে নতুন টাকার বাজারও। প্রিয়জন বা শিশুদের ঈদ সালামি দিতে নতুন টাকার জুড়ি নেই। সেদিক থেকে সবাই এখন হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ব্যাংক কিংবা ফুটপাতে নতুন টাকার ব্যাংকে।

রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ফটক, গুলিস্তান, সদরঘাট ও ফার্মগেটসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় দেদারসে চলছে এ ব্যবসা। নতুন টাকা নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে চলে দর কষাকষিও।

&dquote;&dquote;

সারা বছর নতুন টাকার বেচাকেনা চললেও ঈদকে ঘিরে বেড়ে যায় এর চাহিদা এমনটাই বলছেন নতুন টাকা ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান খান। তিনি বলেন, '‌সারা বছর ধরেই আমরা নতুন টাকার ব্যবসা করি। সে সময় আমরা ছেড়া টাকা কেনার পাশাপাশি নতুন টাকা বিক্রি করি। তবে ঈদ এলে বেড়ে যায় নতুন টাকার বেচাকেনা। আমরা তখন দামটাও একটু বাড়িয়ে দেই।'

পরিবারের সাথে ঈদ করতে রাতেই গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন আফতাব আহম্মেদ। বরাবরের মত এবারও নিজের সন্তান ও ভাগিনা-ভাগনির জন্য নতুন টাকা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আফতাব বলেন, 'ঈদের আনন্দ আরো বাড়িয়ে দিতে ঈদের দিন সকালে বাচ্চাদের সালামি হিসেবে নতুন টাকা দেই। এতে খুব খুশি হয় তারা। সে জন্যে আবারও টাকা নিয়ে যাচ্ছি।'

ফুটপাতে নতুন টাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা যায়, ১০০টি নোটের ২ টাকার একটি বান্ডিল কিনলে ক্রেতাকে অতিরিক্ত দিতে হয় ৫০ টাকা। অর্থাৎ পুরাতন ২৫০ টাকার বিনিময়ে পাওয়া যাবে নতুন ২০০ টাকা। আর ১০০টি নোটের ৫ টাকার নতুন বান্ডিলের জন্য (৫০০ টাকা) দিতে হবে ৬০০ টাকা। আর ১০ টাকার বান্ডিলের জন্য বেশি দিতে হয় ১০০ টাকা। এছাড়াও ২০ ও ৫০ টাকার বান্ডিলের জন্য গুনতে হয় অতিরিক্ত ১২০ টাকা। আর ১০০ টাকার বান্ডিলের জন্য ১১০ টাকা বেশি দিতে হয়।

&dquote;&dquote;

রাজধানীর যেসব ব্যাংকের যে যে শাখা পাওয়া যাচ্ছে নতুন টাকা:

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখা, জনতা ব্যাংকের রাজারবাগ শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা, উত্তরা ব্যাংকের চকবাজার শাখা, সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা, রূপালী ব্যাংকের মহাখালী শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ শাখা,অগ্রণী ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, সিটি ব্যাংকের মিরপুর শাখা, ঢাকা ব্যাংকের উত্তরা শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাওরান বাজার শাখা, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের দক্ষিন খান এসএমই এন্ড এগ্রিকালচার শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বনানী শাখা, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো শাখা, ইসলামী ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, ব্যাংক এশিয়ার ধানমন্ডি শাখা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: