একাদশ সংসদ নির্বাচন: আলোচনায় না হলে রাজ পথে সমাধান

প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০১৭, ০৬:৩৬ পিএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন,দেশের চলমান রাজনৈতিক অবস্থা ও বিএনপির রাজনৈতিক পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিডি২৪লাইভকে একান্তে সাক্ষাতকার দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।সাক্ষাতকার নিয়েছেন বিডি২৪লাইভ-এর স্টাফ করেসপন্ডেন্ট নাজমুস সাকিব সোহান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।

বিডি২৪লাইভ: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রস্তুতি সম্পর্কে বলুন?

শামসুজ্জামান দুদু: নির্বাচনের জন্য বিএনপি সবসময় প্রস্তুত, যদি আজকে রাতে ঘোষণা দেয়, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না, কিন্তু কাল সকালে নির্বাচন হবে, তাহলেও বিএনপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছে।

শেখ হাসিনার অধীনে স্বয়ং আল্লাহ যদি ফেরেস্তাও পাঠায়, তাহলেও সেই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হওয়া সম্ভব না। কারণ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির কথা ভাবুন।বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহন করেনি তাতে কি? একটি ভালো সুষ্ঠু নির্বাচন তো হতে পারতো। তারা চুরি, মারামারি, খুনাখুনি সবই করেছে সেই নির্বাচনে।বর্তমান রাজনৈতিক পেক্ষাপটে, সহায়ক সরকার,ইসির ভূমিকা,নির্বাচনের রুপরেখা ও প্রস্তুতি নিয়ে খোলামেলাভাবে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের কথা বলা উচিত।

&dquote;&dquote;

বিডি২৪লাইভ: বিএনপি কবে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রুপরেখা দিবে?

শামসুজ্জামান দুদু: আমাদের নেত্রী বেগম জিয়া দেশের বাহিরে আছেন। উনি আসলে আমরা রুপরেখা দিয়ে দিবো। তাছাড়া আমাদের রুপরেখা একেবারে সম্পন্নের দিকে এগিয়েছে।সহায়ক সরকারের রুপরেখার মূল বিষয় হচ্ছে দলীয় সরকারের বাহিরে একটি সরকারের অধীনে নির্বাচন করা। এটার একাদিক উদাহরণ আমরা তুলে ধরবো। আগে যে ভাবে নির্বাচন হয়েছে, অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে, ঠিক তা না কিন্তু প্রায় একই রকম। এই বিষয় নিয়ে আমরা সরকারের সাথে আলোচনা করে রুপরেখা দিবো। অর্থাৎ আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে একটি শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচন।

বিডি২৪লাইভ: সহায়ক সরকারের ইসির ভূমিকা কি হতে পারে?

শামসুজ্জামান দুদু: বর্তমান ইসির চোখে পরেছে একটি সরকার আছে,এবং সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে,এবং তিনি বিশ্বাস করেন স্বাভাবিক নির্বাচন হবে।ইসির প্রধান এ কথা বলেছেন। এ কথা বলার কারণ হচ্ছে, তিনি ছাত্রলীগ করতো তার মাথায় বঙ্গবন্ধু আছে,শেখ হাসিনা আছে। তিনি স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমান সরকারের কথা বলবেন কিন্তু তিনি যদি সত্যিকারের ইসি হতেন, তাহলে তিনি এইসব বিষয় আড়াল করতেন এবং নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য একটি সঠিক ভূমিকা পালন করতেন।

বিডি২৪লাইভ: সহায়ক সরকারের রুপরেখা গ্রহন যোগ্য হবে কিনা?

শামসুজ্জামান দুদু: তারা যদি দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে চায়,আইনের শাসন ফিরিয়ে দিতে চায়, দেশে শান্তি ফিরিয়ে দিতে চায়, তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই তারা এই রুপরেখা মেনে নিবে।আর যদি রুপরেখা না মানে, তাহলে দেশে অনেক উদাহরণ আছে, পাকিস্থান আমলে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন হয়েছে ২৪ বছর। তারা গণতন্ত্র মানে নাই, সেই জন্য পাকিস্থান থাকে নাই। আবার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর গণতন্ত্রর জন্য আন্দোলন বহুবার হয়েছে। কখনো গণতন্ত্র পেয়েছে কখনো পায়নি। তাই যারা গণতন্ত্র প্রিয় তারা সবসময় এক ধরনের লড়াইর মধ্যে থাকে। আর বিএনপি শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধার দল। শুধু তারা লড়াই করে না,তারা যুদ্ধ করে। সেই জন্য আমরা আশাবাদী, আলোচনার মধ্য দিয়ে যদি মীমাংসা না হয় তাহলে রাজ পথে হবে।

 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: