‘ঢাকা শহরেতো নৌকা ছাড়া চলার উপায় নেই’
টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকাগুলোতে এখন চলাফেরা করাই যেন দায় হয়ে পড়েছে। এজন্য সিটি কর্পোরেশনকে দায়ি করে অনেকেই ক্ষোভ ঝাড়ছেন।
গত সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া এ বৃষ্টির কারণে রাজধানীর মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাই্ল, মগবাজার, কাঠালবাগান, রাজারবাগ, কাওরান বাজার, ধানমন্ডি, আসাদগেট, শ্যামলী, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, খিলগাঁও, রামপুরা, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, পল্টনসহ পুরান ঢাকার বেশকিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও কোমর পরিমাণ পর্যন্ত পানি উঠে গেছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি কর্পোরেশন নানা রকম পদক্ষেপ নিলেও কিছুই যেন কাজে আসছে না। একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায় রাজধানীর অনেক এলাকা। আর এবার দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে সৃষ্টি হওয়া জলাবদ্ধতার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে এসব এলাকার বাসিন্দারা। এজন্য সিটি কর্পোরেশনের সমালোচনাও করছেন অনেকে।
কাওরান বাজারে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী ফারুকের সঙ্গে। অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। আজকে জবে যাওয়া হয়নি। যে অবস্থা এখন, এটার জন্য প্রত্যেকটা লোকের জন্য একটা করে স্পিডবোর্ড বা নৌকা দেয়া দরকার সরকারের। ঢাকা শহরেতো নৌকা ছাড়া চলার উপায় নেই। নৌকারই দরকার।’
অন্যদিকে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিপু বলেন, ‘রাস্তায় অনেক পানি। আমি পড়েও গিয়েছিলাম। কোমর পর্যন্ত ভিজে গেছে। অনেক সাফার করছি। সিটি কর্পোরেশন কি করছে সেটাই বুঝি না।’
মাসুদ হোসেন নামের এক রিকশাচালক বলেন, ‘বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে গেছে। এ কারণে রাস্তায় থাকা গর্ত দেখা যায় না। গর্তে পড়লে ব্যাথা পাই, রিকশার চাকাও ভেঙ্গে যায়। অনেক সমস্যা হয়।’
এদিকে জলবদ্ধতার কারণে পানিবন্দি হয়ে আছেন কাঁঠালবাগানের কয়েক’শ পরিবার। বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনেকের ঘরে পানি উঠে গেছে। রান্না-বান্নাও বন্ধ। পানির কারণে শৌচাগারেও যেতে পারছেন না তারা। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে তাদেরকে।
কাঠালবাগানের ২৫৪ নম্বর বাসা। এখানে নিচতলায় ১০টি রুম পানিতে তলিয়ে গেছে। এ বাসার প্রথম রুমেই থাকেন ১০জন। তারা সবাই টাইলসের কাজ করেন। এদের মধ্যে রুমে গিয়ে চার জনের দেখা মেলে। বাকি ছয়জন কাজে বের হয়েছেন।
এ বাসার আনোয়ার আলী বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই বাসায় পানি উঠে যায়। অনেক সমস্যার মধ্যে আছি।’ এখানে একটি রুমে পরিবার নিয়ে থাকেন আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ঘরে পানি উঠে গেছে। এখন চৌকির উপরে বসে আছি। কোথাও যাওয়া যাচ্ছে না পানির কারণে। খুব কষ্ট হচ্ছে।’
এরপর ২৫৩ নম্বর বাসায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানেও একই অবস্থা। পানিতে রুমগুলো তলিয়ে গেছে। এই বাসায় বসবাসকারী বেসরকারি চাকরিজীবী কামরুল ইসলাম বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘পানির জন্য কোথাও থাকা যাছে না। রান্না-বান্না বাদ। বাথরুমেও যাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের এখানে ৩০টা রুমের মধ্যে সব রুমই পানিতে তলিয়ে গেছে।’
অন্যদিকে একই বাসার আশা আক্তার বলেন, ‘পুরো রুম সুইমিংফুল হয়ে গেছে। সব বন্ধ হয়ে আছে। রান্না-বান্না বন্ধ থাকায় খাওয়া-দাওয়ার সমস্যা হচ্ছে। সামনের রাস্তা কেটে রেখেছে। রাস্তার জন্য আরও বেশী সমস্যা হচ্ছে। আমরা ভোগান্তির মধ্যে আছি।’
এ বিষয়ে জানতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. বেলালকে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিডি২৪লাইভ/এমআই
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: