ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য দেশের বড় সর্বনাশ

প্রকাশিত: ১১ আগষ্ট ২০১৭, ০৪:০০ পিএম

মুক্তিযুদ্ধ, রাজনৈতিক সঙ্কট, দেশের চলমান অন্যায়-অবিচার, খুন-ধর্ষণ ও অনিয়মসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেশের স্বনামধন্য অনলাইন নিউজপোর্টালকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও গণ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন বিডি২৪লাইভের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, আব্দুল্লাহ আল মামুন।

বিডি২৪লাইভ: আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে যে চলমান সংকট রয়েছে তার কি ধরনের প্রভাব আমাদের সমাজে পড়তে পারে বলে আপনি মনে করেন? এবং এর সমাধান কি হতে পারে?

জাফরুল্লাহ চৌধুরী: আগামী নির্বাচন দলীয় সরকার বা শেখ হাসিনার অধীনে হোক কিংবা সহায়ক সরকারের অধীনে হোক এটা বড় কথা নয়। আজকে প্রধানমন্ত্রী পরিস্কারভাবে বলুক ওনার অধীনেই নির্বাচন হবে কিন্তু প্রতিটি ব্যক্তিই নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবে। ওনি (প্রধানমন্ত্রী) লিখিতভাবে এই প্রতিশ্রুতি দিক।
যে দেশে প্রতিদিন ২০টা ধর্ষণ হয়। ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ সরকার দলীয় অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা অনেকেই অন্যায়ের সঙ্গে জড়িয়ে পেড়েছে। অন্যদলের লোকেরা করে কি না তা কিন্তু আমি বলছি না। এটাকে প্রতিহত করে উনি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবে? অন্যদেশে হয় কিন্তু এই দেশের বাস্তবতা ভিন্ন। এ দেশের বাস্তবতা হলো এদেশের অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের কিছু লোক সুবিধাবাদী। তারা তাদের ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য দেশের সর্বনাশ করে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রধান বিচারপতি ছিলেন, এ বি এম খাইরুল হকের কথা দিয়েই শুরু করা যাক। ওনি পহেলা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কি সংক্ষিপ্ত রায় দিলেন। তারপরে ৬ মাস না ৮ মাস পর কি রায় দিলেন। আজকে সহায়ক সরকার, অমুখ সরকার মূলত রায় টা ছিলো তত্বাবধায়ক সরকারের নিরপেক্ষতা কি করে। সেই সম্পর্কে বক্তব্য দিবে তা না করে ওনি তার ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্যই এটা করেছে।

ভালো লোক জজ সাহেবরা অনেক সময় খারাপ কাজ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উনি অবসরে যাবেন। ওনার একটা চাকরি দরকার। তাও আবার সমমর্যাদার। আমরা সবাই জানি সংসদীয় কমিটিতে নির্বাহ ছিলো তত্ত্বাবধায়ক থাকবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আরো কয়েক বার থাকবে। প্রাথমিক রায়টাতেও কথা হলো কিন্তু ৮ মাস পরে যখন মূল রায় লিখলেন তারপরেই উনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হলেন। আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্যে, সরকারকে তুষ্ট করার জন্যেই তিনি এ কাজ করেছেন।
হঠাৎ ওনার এত বক্তব্য দেয়ার সখ হলো কেন? প্রধান বিচারপতি কি বলেছেন না বলেছেন ওনার আরেকটা লক্ষ্য আছে।ওনি ভাবছেন পরবর্তী সরকারের একটা প্রেসিডেন্ট দরকার হবে। ওনি যাতে প্রেসিডেন্টের জন্য বিবেচিত হন সেইজন্য এসব শুরু করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আজকে ষোড়শ সংশোধনীর ওপর রায় দিয়েছে আপিল কোর্ট। তা নিয়ে তো আমাদের রাজনৈতিক ব্যক্তিরা কথা বলেছেনই। ওনার এখানে কথা বলার কি আছে? ওনার তো এখানে নাক গলানোর কিছু নেই। ওনার বক্তব্যের অর্থটা কি? এটা জাতির জন্য নয়। ওনার স্বার্থ প্রণোদিত এবং জাতিকে ক্রমেই দ্বন্দ্বের সম্মুখীন করতে। ওনার কাছে তো কেউ কিছু শুনতে যায়নি। তাহলে ওনি এই দ্বন্দ্বে কেন গেলেন? শুধু মাত্র ওনার স্বার্থের জন্যেই। এই যে ব্যক্তি স্বার্থ, ক্ষুদ্র স্বার্থই আমাদেরকে সমস্যা সৃষ্টি করছে। এদের বিচার হওয়া উচিত। জনগণের আদালতে এদের বিচার একদিন হবেই।

আজকে সরকার থাকবে কি সহায়ক সরকার থাকবে এটা বড় কথা নয়, প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলে দিক। ওনি ফেয়ার নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। ওনি সেনাবাহিনী দিতে ভয় পায় কেন? সেনাবাহিনী তো আর ক্ষমতা দখল করবে না। পদ দখল করবে। যাতে লোক নিরাপদে আসা যাওয়া করতে পারে। আজকে না ভোটে অসুবিধা কি আছে? আমার মতে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে শেখ হাসিনারই লাভ হবে কেননা ভবিষ্যতে শাসনটা সহজ হবে।

বিডি২৪লাইভ: আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কি ভূমিকা থাকতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

জাফরুল্লাহ চৌধুরী: আগামী নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনই সবকিছু। নির্বাচন কমিশনের কোমরে জোড় থাকতে হবে। সৎ, স্বাভাবিক, বিবেকবান ও সাহসী হতে হবে। কিভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে ওনি সেটা সবাইকে বলে দিক।তিনি (নির্বাচন কমিশন) বলে দিক আগামী নির্বাচনে আমি সেনাবাহিনী আনবো। সরকারের দিতে কোনো সমস্যা হবে না। একমাত্র সরকার তার ওই ক্ষমতা ছাড়া ওই তিন মাস আর কোনো কাজ করবেন না। বর্তমান সংসদ থাকবে না। আমি সংসদের গাড়ি বাড়ি সবকিছু নির্বাচনের সময় ব্যবহার করব আর অন্য কেউ যাদের গাড়ি নেই তারা কিছু করতে পারবে না। এ সব বিষয় তো এই কমিশনের দেখার আছে।

তিনি বলেন, কে এম নুরুল হুদা খারাপ ব্যক্তি নয়। সে কি পারবে ক্ষোভ ভুলে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে। সে কি মহাত্মাগান্ধী, লেনসন ম্যান্ডেলা হতে পারবে? যদি পারে তাহলে অসুবিধা কোথায়?

বিডি২৪লাইভ: আগামী নির্বাচনে পার্শ্ববর্তী দেশের কি প্রভাব থাকতে পারে?

জাফরুল্লাহ চৌধুরী: অবশ্যই প্রভাব থাকবে। ভারতের যে সিকিউরিটি চীপ ওনার এখানে কি কাজ। ভারতীয় গয়েন্দা সংস্থা (র) ফরহাদ মজহারকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। কে না জানে আজকে যদি পুলিশ আর র্যা ব না থাকতো, তাহলে তাকে হয়তো জীবিত ফেরত পেতাম না। সালাউদ্দিন কাহিনীর মতো হতে পারতো। হর্ষ বর্ধনের কি অধিকার আছে আমার দেশের নির্বাচন সম্পর্কে বক্তব্য রাখার? বেয়াদবির একটা সীমা থাকা উচিত। তাদের কি অধিকার আছে, কি আছে? চর খাওয়ার উপযুক্ত কাজ করছেন তিনি।

তিনি বলেন, তোমার দেশের গণতন্ত্র নেই। কাশ্মীরে কথা বলার অধিকার নেই। কাশ্মিরের বর্তমানে যে অবস্থা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সেই অবস্থা ছিল। কাশ্মিরে এম এ পাশ মুসলমান ছেলে রিকশা চালায়। হোটেলের বেয়ারার কাজ করতে চায় তাও পায় না।

তিনি বলেন, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (র)-ই তো যথেষ্ঠ মোসাদের কি কাজ এখানে। ভারতীয়রাই তো ইসরাইল সফর করছে, খালেদা জিয়া তো সফর করে নাই। শেখ হাসিনাও সফর করে নাই। আমাদের মোদীও তো গেছেন। মোসাদের অফিস আছে ইন্ডিয়াতে। অফিস থাকলে আমাদের হাইকমিশনে যদি মোসাদের লোক আসে তাহলে দেখা হবে না? বিলাতে সবার সাথে দেখা হয়ছে কি না তা আমি জানি না। হলেই বা কি না হলেই বা কি? তাতে কি আসে যায়? এরা কেউ ঠিক করতে পারবে না। এই দেশে প্রধানমন্ত্রী যদি শুধু বলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে তাহলে মোসাদ, 'র' কারো প্রয়োজন হবে না। বরং নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ওনারই লাভ বেশি হবে।

&dquote;&dquote;

বিডি২৪লাইভ: বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর দলের জন্য কতটুকু লাভ হবে বলেন আপনি মনে করছেন?

জাফরুল্লাহ চৌধুরী: বেগম খালেদা জিয়ার এই লন্ডন সফর তাদের দলের জন্য কোনো লাভ হবে না। ওনার একটা ছেলে মারা গেছেন। অন্যরা দেশে আসতে পারে না। সেই জন্য দেখা সাক্ষাৎ করতে তিনি সেখানে গেছেন। চিকিৎসার একটা উপলক্ষ্যও আছে। এতে দলের কি আসে যায়। ওনি তো এখানে গৃহবন্দীই থাকেন সেই জন্যেই গেছেন। এতে রাজনৈতিক ভাবে বিএনপির কর্মীদের কোনো লাভ হবে না। রাজনৈতিক কর্মীদের লাভ হবে ওনি যদি প্রতিদিন সকালে ওনার বাসার নিচে এসে তিন ঘন্টা কর্মীদের খোজ খবর নেন, দেখা সাক্ষাত করেন। তাহলে কোনো মোসাদ, 'র', তারেক জিয়া কাউকে লাগবে না ওনি একাই যথেষ্ঠ।

বিডি২৪লাইভ: আজকে স্বাধীনতার এতো বছর পরে তার কতটুকু সুফল আমরা পাচ্ছি?

জাফরুল্লাহ চৌধুরী: অনেক সুফল আমরা পাচ্ছি। আজকে স্বাধীনতা না হলে আমরা বেঁচে থাকতে পারতাম না। তুমি এভাবে এসে আমার সাথে কথা বলতে পারতে না।
তিনি বলেন, আজকে আমরা না খেয়ে মারা যাচ্ছি না কিন্তু পুষ্টি হীনতায় ভূগছি। আগের দিনের সেই অভাবটা নেই। যখন আমরা মুক্তিযুদ্ধ করি তখন গড় আয়ু ছিলো ৩৭ বছর। আজকে ৭০ বছর ছাড়িয়ে গেছে। এটাই একটা প্রমাণ যে আমাদের লাভ হয়েছে। আজকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের ছেলে মেয়েরা গিয়েছে।
তিনি বলেন, তবে আমরা এখন কথা বলার অধিকার হারিয়ে ফেলেছি। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য হল সাম্য, আমাদের মধ্যে দূরত্বটা কমবে কিন্তু সেটা কমেনি বরং বেড়ে গেছে। দুর্নীতি ভয়ানক ভাবেই বেড়েছে। মিথ্যা, বর্বরতা, লোককে বোকা বানানোর প্রচেষ্টা বেড়েছে, সাম্য চলে গেছে, বিচারহীনতা বেড়েছে। বৈষম্যতা বেড়েছে, মানবধিকার লুন্ঠিত হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ: ৫৭ ধারা আইন আমাদের জন্য কতটুকু প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন?

জাফরুল্লাহ চৌধুরী: ৫৭ ধারা এটা কে না জানে এটা হয়রানি। প্রধানমন্ত্রীকে কূটুক্তি করছে। আমরা তো অনেক ভালো কথাও বলি ওনার সম্পর্কে, ওনাকে যদি কিটিসিজমও করি তাহলে আমাকে ধরে নিবেন। মামলা দিয়ে দিবেন। পৃথিবীর কোনো দেশেই এমনটা হয় না। আমি যখন বিলাতে ছিলাম প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে তারা কত ধরনের হাসি-ঠাট্টা করত, ব্যঙ্গ করত সব দেশেই করে এটা। আগে তো আমাদের দেশেও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে,পহেলা বৈশাখে অন্যান্য দিবসে ব্যঙ্গ চিত্র বের হতো।তাতে কি হতো? তাতে কি তার সম্মান কমে যেত? এই ৫৭ নিয়ে নিজেরাই ঝামেলা বৃদ্ধি করছি। এটা অবিলম্বে বাদ দেয়া উচিত।

৫৭ ধারায় মামলা করতে হলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিতে হবে ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যে সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটা পাগলের কথার মতো কথা? এটা থাকারই কি দরকার আছে? এটা অপ্রয়োজনীয় ধারা, অপ্রয়োজনীয় কাজ। এটা বাতিল করতে এতো সময় লাগছে কেন?

বিডি২৪লাইভ: দেশের দুটি বৃহত্তম দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে নতুন একটা জোটের কথা শুনছি। এরা সাধারণ মানুষের জন্য কি করতে পারবে বলে আপনি মনে করছেন?

জাফরুল্লাহ চৌধুরী: আজকে সব বিরোধীদল যদি এক হতে পারতো। যদি ইস্যুভিত্তিক এক হতে পারতো। তাহলে লাভ হত। খুব অল্প সময় আছে নির্বাচনের কিন্তু এখনো তারা এক হতে পারেনি। আমার মনে হয় এর অন্যতম কারণ হলো বামদের চিন্তা সংকীর্ণতা। আজকে পর্যন্ত সিপিপি-বাসদ কেন তারা সবার সাথে মিশতে পারছে না। এরা কেন একত্র হতে পারছে না। আজকে যদি লোকে দেখতো কামাল হোসেন, আসম আব্দুর রব, কাদের সিদ্দিকী,মাহমুদুর রহমান মান্না এবং আরো অনেকে সাত আটটা বিষয়ে এক হতে পারতো সাংবাধানিক ব্যাপারে, কৃষক শ্রমিকদের ভাগ্যের ব্যাপারে, স্বাস্থ্যের ব্যাপারে, ওষুধের দামের ব্যাপারে তাহলে ভালো হতো।

বিডি২৪লাইভ: দিন দিন দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পাচ্ছে এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কি বলে আপনি মনে করেন?

জাফরুল্লাহ চৌধুরী: প্রতিদিন খবরের কাগজে যেসব খবর আসছে। শিক্ষিত ছেলে-মেয়েরা পর্যন্ত কোনো একটা কাহিনী করেছে পরে সেটাকে নিয়ে ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিচ্ছে। এটা একেবারেই অনৈতিক। প্রেমটা অনৈতিক নয়, তার পরবর্তী কার্যক্রমটা অনৈতিক। এটা ক্রমেই বাড়ছে। এখনই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।

বিডি২৪লাইভ: বর্তমান রাজনীতিতে জামায়াতের অবস্থান কি?

জাফরুল্লাহ চৌধুরী: আজকে জামায়াত যদি অতীত কর্মকান্ডের জন্য ক্ষমা চায় যদিও তারা চেয়েছে। তারপরও বলছি আমার মনে হয় তাদের অতীত কর্মকান্ডের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে আবার শুরু করবে কেননা জামায়াতের বর্তমান নেতারা তো আর কোনো দোষ করেনি।

এ সময় প্রবীণ এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিডি২৪লাইভের মাধ্যমে তার কিছু ইচ্ছার কথা তুলে ধরেন যা: আমার স্বপ্ন হল নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, আমি দেশবাসির কান্না দেখব না। গরীব মানুষের কান্না দেখতে চাই না। এটাই আমার কামনা।

বিডি২৪লাইভ/এএএম/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: