আজহারুল-কায়সারের আপিল শুনানি ১০ অক্টোবর

প্রকাশিত: ১৩ আগষ্ট ২০১৭, ০৯:৫৬ এএম

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানির জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে এই দুই আসামির আপিলের সার সংক্ষেপ ২৪ আগস্টের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

জামায়াত নেতা আজহারুলের আপিল ২নং ক্রমিকে ও জাতীয় পার্টির নেতা কায়সারের আপিল ৩নং ক্রমিকে ছিল।

ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল দায়ের করেন এটিএম আজহারুল ইসলাম।

সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবীরা এ আপিল দায়ের করেন।

আপিল আবেদনে এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাস চাওয়া হয়েছে। মোট আপিল ৯০ পৃষ্ঠার এবং আপিলে খালাসের পক্ষে ১১৩টি যুক্তি তুলে ধরা হয়।

এর আগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর রংপুর অঞ্চলের আলবদর কমান্ডার এটিএম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসির আদেশ দিয়ে রায় দেন ট্রাইব্যুনাল।

একাত্তরে গণহত্যা, হত্যা ও ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাকে এ সাজা দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার খালাস চেয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়।

আপিলে ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিলের পাশাপাশি তাকে বেকসুর খালাস দেয়ার আবেদন জানানো হয়। সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন আপিল করেছেন।

এ মামলার শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।

আপিলে খালাসের আর্জিতে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। ৫০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত রয়েছে।

২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আদালত কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দেন।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: