৪০ মিনিট বসার কারণেই বোল্টের এই ট্রাজেডি?

প্রকাশিত: ১৩ আগষ্ট ২০১৭, ০৭:২৭ পিএম

লন্ডনে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের আসরে কেরিয়ারের শেষ দৌড়ে ইউসেইন বোল্টের মাঝপথে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থাপকদের দায়ী করেছেন জ্যামাইকা রিলে দলের সদস্যরা।

তারা অভিযোগ করেছেন, দৌড়ের আগে ঠাণ্ডা ঘরে ৪০ মিনিট বসিয়ে রাখার ফলে বোল্টের ঠাণ্ডা লেগে গিয়েছিলো। লন্ডনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে ৪০০ মিটার রিলে রেস ছিল জ্যামাইকার এই দৌড়বিদের কেরিয়ারের বিদায়ী রেস। শেষ লেগে দৌড় শুরু করার কিছুক্ষণ পর পেশিতে টান ধরায় মাঝপথে হুমকি খেয়ে পড়েন ইউসেন বোল্ট।

বিদায়ী রেসে বোল্টের মত একজন অবিসংবাদী কিংবদন্তির স্প্রিন্টারের এই ধরনের দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক প্রস্থানে তার ভক্তদের সাথে সাথে সতীর্থরাও আবেগ-তাড়িত হয়ে পড়েন। বোল্টের সতীর্থ দৌড়বিদ ইউহান ব্লেক এই পরিণতির জন্য আয়োজকদের দায়ী করেছেন।

তিনি বলেন, রেস শুরু হতে দশ মিনিট দেরি করা হয়েছে। একটি ঠাণ্ডা ঘরে প্রতিযোগীদের ৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে।

ব্লেক বলেন, "আমরা ওয়ার্মিং আপ করার পর অপেক্ষা করছিলাম।দেরি দেখে আবার ওয়ার্মিং আপ করছিলাম। একবারে পাগলামি ছিল। ইউসেইনের ঠাণ্ডা লাগছিলো। তিনি আমাকে বলেছিলেন-ইউহান এটা কী ধরনের পাগলামি। একটি রেসের আগে ৪০ মিনিট অপেক্ষা ...।"

২০১১ সালে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে ১০০ মিটারে সোনা জেতা ইউহান ব্লেক অভিযোগ করেছেন, এরকম অপেক্ষায় শনিবার রাতে তারা তাদের সেরাটা দিতে পারেননি। বোল্টের আরেক সতীর্থ ওমর ম্যাকলোডও রেসের আগে ৪০ মিনিট অপেক্ষা নিয়ে ক্ষোভ বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। "হাস্যকর এবং বিরক্তিকর। এতটা সময় অপেক্ষা! আমি তার ভেতর দুই বোতল পানি খেয়েছি।"

জ্যামাইকান রিলে দলের এই সব অভিযোগ সম্পর্কে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। ইউসেইন বোল্টকে সর্বকালের সেরা দৌড়বিদ হিসাবে দেখা হয়। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তার মোট ১১টি সোনার পদক রয়েছে।

তার শেষ প্রতিযোগিতায় একটি সোনা নিয়ে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ১০০ মিটারে কোনোরকমে ব্রোঞ্জ পান তিনি, এবং ৪০০ মিটার রিলেতে দৌড় শেষ না করতে পেরে হুমড়ি খেয়ে পড়া এবং খোঁড়াতে খোঁড়াতে বেরিয়ে যাওয়ার এই ঘটনা হয়তো তার বাকি জীবনের দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকবে। বিবিসি

 

বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: