জামালপুরে বন্যায় ৯৬৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

প্রকাশিত: ১৭ আগষ্ট ২০১৭, ০৯:৩৬ পিএম

সাইদুর রহমান, জামালপুর থেকে: দ্বিতীয় দফার বন্যায় জামালপুরে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৯৬৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়মিত পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জামালপুর সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার মো.আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে যমুনার পানি সামান্য কিছুটা হ্রাস পেলেও জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী জানান, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ১০ সেন্টিমিটার কমে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে উজানে যমুনার পানি কিছুটা হ্রাস পেলেও ভাটিতে ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই, জিঞ্জিরামসহ শাখা নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বকশীগঞ্জ উপজেলার ৬টি ও জামালপুর সদরের ৫টি ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ এলাকা নতুন করে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এদিকে সরিষাবাড়ির স্থল এলাকায় তারাকান্দি-ভুয়াপুর সড়ক বাঁধ ২০ মিটার এলাকায় ভেঙ্গে সরিষাবাড়ীর বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন করে বন্যা কবলিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা জানিয়েছে, বুধবার মধ্যরাতে পানির প্রবল তোড়ে বাধটি ভেঙ্গে যায়। তিনি জানান বাধটি রক্ষায় সেনাবাহিনীর একটি টিম কাজ করছে। গত ৩ দিনে জেলায় শিশুসহ বন্যার পানিতে ডুবে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বন্যায় সবমিলিয়ে জেলার ৭টি উপজেলার ৫৫টি ইউনিয়ন ও ৬ পৌরসভার ৬ লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন। সরকারিভাবে জেলায় ২৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন বাধ ও উঁচু সড়কে। কাজ নেই, ঘরে খাবার নেই, তার উপর গো-খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় অসহায় বানভাসীরা চোখেমুখে অন্ধকার দেখছেন। জামালপুরের অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক রাসেল সাবরিন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত জেলায় ২৩৮ মে.টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া হাতে তৈরী শুকনো রুটি ও গুড় বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এস এ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: