যেভাবে উধাও হলো বিকাশ অ্যাকাউন্টের ১৩ লাখ টাকা
পুলিশ বলছে ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ-এর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে নেয়ার সাথে জড়িত একটি চক্রকে তারা আটক করেছে। আটককৃত ব্যক্তিরা কয়েকজনের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে অন্তত ১৩ লাখ টাকা সরিয়ে নিয়েছে।
এর আগে সাইবার জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে দশ কোটি ডলার চুরির ঘটনায় বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এসেছিলো বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যার বড় অংশ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি বাংলাদেশ।
তবে ওই ঘটনার পর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাইবার নিরাপত্তা জোরদারে নেয়া হচ্ছিলো নানা পদক্ষেপ। এর মধ্যেই এটিএম কার্ড জালিয়াতি এবং মোবাইল ফোন ক্লোন করে টাকা সরিয়ে নেয়ার মতো ঘটনাগুলো ঘটেই চলেছে। খবর বিবিসি বাংলার।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান বলছেন, রোববার রাতে তারা কয়েকজনকে আটক করেছেন তারা, যারা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মোবাইল ফোন ভিত্তিক অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ-এর কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে বিশেষ কায়দায় লাখ লাখ টাকা সরিয়ে নিয়েছে।
তবে বিকাশের সার্ভার হ্যাক করে অর্থ জালিয়াতির কোন সুযোগ নেই বলেই দাবি করেন প্রতিষ্ঠান কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম।
তিনি জানান তাদের কোন অ্যাকাউন্ট থেকে বা ভিন্ন সিম ব্যবহার করে জালিয়াতির চেষ্টা করা হলে তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সেই অ্যাকাউন্ট বা সিম বন্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু তাহলে কিছুদিন পরপরই বিকাশের মতো এতো বড় একটি মোবাইল ফোন ভিত্তিক অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে নেয়ার অভিযোগ আসছে কেন?
জবাবে শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, এজেন্টদের কাছে থাকা কিছু ব্যক্তি কৌশলে পিন নম্বর জেনে বা ফোন পরিবর্তন করে দিয়ে জালিয়াতি করে। এটি প্রতিরোধে এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
তবে গ্রাহকরা সচেতন হলে এ ধরনের জালিয়াতি পুরোপুরি বন্ধ হবে বলে মনে করেন তিনি।
আর এসব সংঘবদ্ধ চক্রের পেছনের দেশী বিদেশী চক্র কাজ করে বলে বলছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান।
তার মতে মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অনেক দুর্বলতা আছে বলেই জালিয়াতির ঘটনা ঘটেই চলেছে।
মাহবুবুর রহমান মনে করেন মোবাইল ব্যাংকিং বা অর্থ সম্পৃক্ত আছে এমন ক্ষেত্রগুলোতে ডিজিটাল জালিয়াতি বন্ধে একদিকে যেমন প্রাতিষ্ঠানিক প্রচেষ্টা জোরদার করা দরকার, তেমনি গ্রাহকদেরও আরও সচেতন করে তুলতে হবে।
বিডি২৪লাইভ/এআইআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: