ডেঙ্গু নিরাময়ে পেঁপে পাতা!

প্রকাশিত: ৩০ আগষ্ট ২০১৭, ১২:২০ এএম

ডেঙ্গু জ্বর হল ভাইরাসজনিত এক ধরনের তীব্র জ্বর। এ জ্বরের বাহক এডিস মশা। এডিস মশা ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে থাকে। জীবাণু বহনকারী এডিস মশা কাউকে কামড়ালেই ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। এ জ্বর হলে প্রাথমিক পরিচর্চা হিসেবে দ্রুত জ্বর কমানো জরুরি।

তবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পেঁপে পাতার রস কার্যকরী ভূমিকা পালন করে বলে জানা যায়। স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে পেঁপের পরিচিতি বেশ আগে থেকেই, এবার সেই তালিকায় পেঁপের পাতাও যুক্ত হল। ফ্লোরিডার গবেষক ডা. ডেঙ এবং শ্রীলংকার গবেষক ডা. সানাথ হেট্টিগ এবং এমআই কাঠিবেসান তাদের গবেষণায় দেখিয়েছেন, পেঁপে পাতার রস ডেঙ্গু জ্বরে অনেকটা উপকারী ভূমিকা পালন করে।

ডেঙ্গুর ভাইরাস শরীরে যতদিন কার্যকর থাকে ততদিন পর্যন্ত শরীরে নতুন প্লেটলেট উৎপাদনের ক্ষমতা নষ্ট করে দিতে ভূমিকা রাখে। সাধারণত একজন সুস্থ মানুষের রক্তের স্বাভাবিক প্লেটলেটের পরিমাণ হলো প্রতি মাইক্রো লিটারে ১৫০,০০০ থেকে ২৫০,০০০ পর্যন্ত। ডেঙ্গু হলে এই প্লেটলেটের সংখ্যা খুব দ্রুত কমে যেতে থাকে। 

তার মতে, ১০০,০০০ এর নিচে প্লেটলেট লেভেল চলে আসলে তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারেন। প্লেটলেট লেভেল যদি ৫০০০০ এ নেমে আসে তাহলে থ্রমবোসাইটোপেনিয়া হয়ে যায়। ফলে অনেক সময় রোগীর মৃত্যু হতে পারে। তাই ডেঙ্গু হলে প্লেটলেট পরীক্ষা করে দেখা হয়। প্লেটলেট খুব কমে গেলে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করানো উচিত। প্লেটলেটের পরিমাণ যখন অস্বাভাবিক কমে যায় তখন রক্ত জমাট বাধতে শুরু করে এবং হ্যামোরেজিং হতে পারে। এর ফলে শরীরের অভ্যন্তরীন রক্তক্ষরণ হয় এবং রোগীর মৃত্যু ঘটে।

পেঁপে পাতার রস ডেঙ্গুর প্রতিষেধক এটা নিয়ে অনেক মানুষ দ্বিমত পোষন করেছে। কিন্তু ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডা রিসার্চ সেন্টারের গবেষক নাম ড্যাং এর মতে পেঁপে পাতার রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং তা ডেঙ্গু জ্বর খুব দ্রুত সারিয়ে তোলে। এমনকি পেঁপে পাতার রস ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়তা করে। শ্রীলঙ্কার ফিজিশিয়ান ডাক্তার সানাথ হেট্টিগ এর মতে পেপে গাছের কচি পাতার রস ডেঙ্গুর ওষুধ হিসেবে খুবই উপকারী। তার এই গবেষণাটি ২০০৮ সালে শ্রীলংকান জার্নাল অফ ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানস এ প্রকাশিত হয়েছিলো।

পেঁপে পাতার রস তৈরির নিয়ম:
প্রথমে পেঁপে গাছের কচি পাতা সংগ্রহ করে বেটে বা ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিতে হবে। ছেঁকে নেয়ার পর এ রস একজন প্রাপ্তবয়স্ক রোগীকে ১০ মিলি লিটার করে ০৮ ঘণ্টা পরপর দিনে দু’বার করে খেতে দিতে হবে। ৫-১২ বছর বয়সী শিশু রোগীদের ক্ষেত্রে ০৫ মিলি লিটার করে ০৮ ঘণ্টা পরপর দিনে দু’বার করে খেতে দিতে হবে। 

পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের জন্য ২.৫ মিলি লিটার করে ০৮ ঘণ্টা পরপর দিনে দু’বার করে খেতে দিতে হবে। তবে একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন, তৈরি করা পেঁপে পাতার রসের সঙ্গে কোনো প্রকার লবণ বা চিনি মেশানো যাবে না।-সূত্রঃ টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া।

বিডি২৪লাইভ/এএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: