মুসলমানরা কেন মৃত্যুকে ভয় পায়?

প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৬:৫৬ পিএম

এমন কিছু মৃত্যু আছে, যার জন্য মুসলমানদের জন্য রয়েছে জান্নাতের শুসংবাদ। মৃত্যু অনিবার্য, কেউ আছে কি যে মৃত্যুর স্বাধ গ্রহণ করবেন না। এই কথাটা আবেগের নয়। পবিত্র কোরআনে এ কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কোরআনে বলা হয়েছে, জীবের মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। তাই আসুন সকল মুসলমান এক হয়ে মুসলমানদের উপর হওয়া সকল জুলুম-অত্যাচার রোধ করি। একটু একটু করে আজ আমরা মুসলিম উম্মাহ বিলুপ্তির পথে। আমরা আজ অত্যাচারিত হতে হতে অত্যাচারের প্রতিবাদ করা ভুলে গিয়েছি। 

হযরত আদম আঃ থেকে শুরু করে আমাদের নবী পর্যন্ত শয়তান ছিল। কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে। এই শয়তানের মোকাবেলা করতে হবে সর্বস্ব দিয়ে এটাই আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন আল্লাহ ও নবী-রাসুল। এই শয়তান কিন্তু মানুষের কাছে ইয়া বড় বট গাছ, বড় দানব, এমনটা নয়, শয়তান হলো মানুষরুপি কাফের মুশরিক। তারা আজীবন কাল মুসলিমদের শত্রু ছিল থাকবে।

আজ তাদের অত্যাচার এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায় যে, সাধারণ দুর্বল ঈমানের অধিকারী মুসলিম যারা তারা অত্যাচারির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তাদের বশ্যতা স্বীকার করেন। এ যাবত যত যুদ্ধ মুসলমানদের সাথে সংগঠিত হয়েছে তাতে দেখা যায় যে, কাফের মুশরিকদের দলে হাজার হাজার সৈন্য ছিল। আর মুসলমানরা ছিলো খুব নগন্য। তখন মুসলমানরা আল্লাহর উপর ভরসা করে তাদের সাথে লড়াই চালিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। সেই সব যুদ্ধে কত সাহাবী জীবন দিয়ে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নবী করিম (সাঃ) এর দ্বন্ত (দাঁত) মোবারক সহিত হয়েছিল। কাফের মুশরিকরা দিনের পর দিন মুসলিমদের পানি পান করতে দিতেন না। খাবার খেতে দিতেন না, তারপরও কত কষ্ট করেছেন রাসুল (সাঃ) এবং সাহাবারা। তারপরেও ইসলাম ত্যাগ করেন নি। যুদ্ধের ময়দা হতে পলায়ন করেন নি। 

সেই ইসলাম আজ বিলুপ্তির পথে, কিন্তু কিছু কিছু হাইব্রিড মুসলিম নেতা চুপ করে এসির মধ্যে ডুব মেরে কানে হেডফোন গুজে বসে বসে ডিজে ইসলামিক গান শুনছে আর টিভির পর্দায় মুসলিমদের নির্যাতনের ছবি দেখছেন এবং খবর শুনছেন। আর তারাই আবার দাবি করেন আমরা মুসলিম নেতা।

আজ রাখাইন রাজ্যে এত হত্যা, ধর্ষণ করার পরেও শান্তিতে নোবেল প্রাপ্ত মানুষ আকৃতির শয়তান সুচি বলেন, যে এগুলো পুরোটাই মিথ্যা। আমার মনে হয় যারা এই নোবেল পুরস্কারটি সুচিকে দিয়েছেন তারা সুচির এই আসল চেহারটা সম্পর্কে আগে কিছুই আচ করতে পারেন নি। হয়তো এ কারণেই দিয়েছেন।

আজ হাজার হাজার মুসলিমকে হত্যা-ধর্ষণ করার পর বারমার নরপিচাসরা খ্যান্ত হচ্ছেন তা নয়। মুসলিমরা ভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে চাইছেন তাও আসতে দেয়া হচ্ছে না পথের মধ্যে ভূমি মাইন পুঁতে রাখ হয়েছে। আর তাতে উড়ে যাচ্ছে আমাদের মুসলিম ভাই-বোনদের পা। মারা যাচ্ছে নারী শিশু। প্রতিনিয়ত শোনা যাচ্ছে পাঁচ-ছয়জন মহিলা ও শিশুর লাশ নাফ নদীতে ভাসছে। কি অপরাধ এই শিশুদের? সময় থাকতে আমাদের মুসলিম নেতাদের বলব আর চক্ষু বুজে থাকবেন না। কিছু একটা করুন। মক্কা মদিনাকে পুঁজি করে অর্থ রোজকার করে সেই অর্থে আরামে গা ভাসিয়ে বেড়িয়েন না। তাহলে একদিন আপনাদেরও বিপদে পড়তে হবে।

লেখক: এম এম আশরাফুল আলম।

খোলা কলামে প্রকাশিত সব লেখা একান্তই লেখকের নিজস্ব মতামত। এর সাথে পত্রিকার কোন সম্পর্ক নেই।
 
বিডি২৪লাইভ/এমএমএএ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: