একটানা চার ঘণ্টারও বেশি কম্পিউটারে; মানে হার্ট অ্যাটাক

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৮:৪৯ এএম

হার্ট অ্যাটাক অনেক কারণে হতে পারে। ধমনিতে ব্লক সৃষ্টি হলে বিশেষ কোনো ত্রুটির জন্য হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার বংশানুক্রমের কারণেও হতে পারে। এর বাইরেও আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক ঘটনা বা ত্রুটিপূর্ণ অভ্যাস হার্ট অ্যাটাক ডেকে আনতে পারে।

অনেকেরই সিগারেটের নেশা আছে। সিগারেটের জন্য ক্যান্সার যেমন হতে পারে, তেমনি এটা হার্ট অ্যাটাকেরও একটি কারণ হতে পারে। এ ধরনের আরও কিছু কারণ সম্পর্কে সচেতন হলে হার্টের সমস্যা কিছুটা কমানো যেতে পারে। চলুন জেনে নেই সেসব কারন গুলো-

১। হঠাৎ রেগে ওঠার অভ্যাস হার্টের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বেশি রাগের লক্ষণ হলো সামান্য কারণে উঁচু গলায় প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা, রাগে শরীর কাঁপা, দুই হাতে আঙুল চেপে ধরা, দাঁত কিড়মিড় করা ইত্যাদি। এগুলো স্নায়ুর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। ঘন ঘন রাগ হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ায়।

২। কম্পিউটারে দিনে একটানা চার ঘণ্টারও বেশি কাজ করলে বা এ রকম দীর্ঘ সময় টিভি দেখলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা ১২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। অনেক বেশি সময় বসে থাকলে শরীরে লাইপো প্রোটিন লাইপেজের ঘাটতি দেখা দেয়। এই এনজাইম শরীরের চর্বি ক্ষয় করে এবং ধমনির ভেতরের বাধা (ক্লগড আর্টারি) অপসারণ করে। বসে থাকার তুলনায় শুধু দাঁড়িয়ে থাকলেও ৩০ শতাংশ বেশি ক্যালরি পোড়ে।

৩। সাধারণত খুব বেশি বা খুব কম তাপমাত্রায় থাকলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেশি। আবহাওয়ার তাপমাত্রা হার্টের ওপর প্রভাব ফেলে। আবহাওয়ার তাপমাত্রা শরীরের সাথে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন।

৪। আপনি যদি ধোঁয়া ও ধুলায় আচ্ছন্ন পরিবেশে সব সময় থাকেন তাহলে আপনার হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা সব চেয়ে বেশি। সুস্থ হার্টের জন্য পরিষ্কার বাতাস খুব প্রয়োজন। তাই এখন থেকে যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন।

৫। সাধারণত রাতে সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানো স্বাস্থ্যবিধি। কিন্তু ঘুম যদি নিয়মিত এর চেয়ে কম হয়, তাহলে তা হার্টের জন্য মারাত্মক হয়ে উটতে পারে। জাপানি ছেলেদের মধ্যে যারা ছয় ঘণ্টারও কম ঘুমায়, তাদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা, যারা সাত-আট ঘণ্টা ঘুমায় তাদের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেশি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান জার্নাল অব ওয়ার্ক এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হেলথের এক গবেষণায় থেকে এমনটাই জানা গেছে। সূত্রঃ রিডার্স ডাইজেস্ট।

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: