উকুন মারার ঘরোয়া উপায়

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৩:৩০ পিএম

মাথায় উকুন (Lice) হওয়া এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। অনেকেই উকুন সমস্যায় পড়ে থাকে। বিশেষ করে বাচ্চাদের মাথায় উকুন বেশি দেখায় যায়। উকুন একটি পরজীবী প্রাণি যা মানুষের মাথার ত্বকে বসবাস করে এবং খুব সহজেই একজনের মাথা থেকে অন্যের মাথায় চলে আসে। তবে বিরক্তিকর এ সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় আছে। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে সহজেই এ সমস্যা দূর করা সম্ভব। আসুন জেনে নেই সেই উপায়গুলোঃ-

১। লেবুর রসঃ 
লেবুর রসে আ্যাসিড থাকে যা উকুন তাড়াতে এবং আটকাতে উপযোগী। লেবুর রসের সাথে আদা বেটে সেই মিশ্রণটি আমাদের চুলে প্রায় আধ ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এরপর জল এবং তারপর শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি পর পর ৪-৫ দিন চুলে লাগালে পুরোপুরি উকুন আটকানো যায়।

২। ভিনেগারঃ 
উকুনকে প্রতিরোধ করার জন্য ভিনিগার হলো খুব ভাল। ভিনিগারে প্রচুর পরিমানে আসিটিক আ্যাসিড থাকে যা আমাদের চুলে হওয়া উকুনকে মারতে সাহায্য করে। সমান পরিমানের ভিনিগার আর মিনারেল অয়েল মিশিয়ে ঘুমোনোর আগে সেইটা আমাদের মাথার তালুতে এবং চুলে লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠে চুলে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।

৩। মেয়োনিজঃ 
উকুন মারার জন্য মাথায় চুলে পেট্রোলিয়াম জেলী বা এমন কোন পদার্থ মেখে রাখুন। আপনি চাইলে মেয়নিজ ব্যবহার করতে পারবেন, তবে সেটা বেশ দামী হয়ে যায়। মেয়নিজ আপনার চুলের জন্য ভালো। উকুন তো মারবেই, সাথে চুলকেও নরম ও মোলায়েম করে তুলবে। মেয়নিজ ব্যবহার করলে সাথে বেশ অনেকটা পেঁয়াজের রস মিশিয়ে নিন। পেঁয়াজের সালফার উকুন মারতে সহায়ক।

৪। নিম পাতাঃ 
নিম হল প্রাকৃতিক প্রতিষেধক, যেটি উকুন দূর করতে অনেক বেশী কার্যকর। এটি মাথার চুলকানিও কমাতে সাহায্য করার সাথে সাথে স্কাল্প ময়েশ্চারাইজ করে থাকে। নিমের পেষ্ট করে সেটি চুল আর মাথার তালুতে লাগান। এটি সপ্তাহে দুবার করুন। নিমের তেল ব্যবহারেও চুল থেকে উকুন দূর করা সম্ভব।

৫। নারকেল তেলঃ 
উকুন দূর করার ক্ষেত্রে নারকেল তেল অনেক ভাল কাজ করে থাকে। নারকেন তেল উকুনদের শ্বাসরোধ করে দেয় ফলে উকুনরা বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। তেলটি মাথায় ভাল করে ম্যাসাজ করুন। এরপর কিছুক্ষণ মাথা ঢেকে রাখুন। সকালে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল শুঁকিয়ে গেলে চিরুনি দিয়ে আঁচড়িয়ে নিন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে উকুন গায়েব হয়ে যাবে।

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: