পূজার রাতে রেট বেশি যৌনকর্মীদের!

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১০:৫৬ এএম

সোনাগাছির নিষিদ্ধ পল্লীতে যৌনকর্মীদের ‘রেট’ এমনিতে ৪০০ কি ৫০০ রুপি। কিন্তু পূজার কয়দিন অন্য হিসাব। এই কটা রাত তেমন ‘সস্তা’ নয় সোনাগাছিতে। আর তাই ৪০০ রুপির রাত এখন ৭০০-৮০০ তেও। হ্যাঁ, অন্য সবকিছুর মতো পূজার দিনে সোনাগাছির রাতের দামও চড়া। এমন খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম কলকাতা টুয়েন্টিফোর।

শহর জুড়ে কোটি কোটি রুপির ব্যবসা হয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে। এর প্রভাব পড়ে সোনাগাছির নিষিদ্ধপল্লীতেও। বছরের অন্য রাতগুলোর থেকে পূজার রাতেই কিছু বেশি পয়সার মুখ দেখেন যৌনকর্মীরা। তাই অন্য ব্যবসায়ীদের মতো তারাও সারাবছর অপেক্ষা করেন এই কয়েকটা দিনের জন্য। আসলে ওদের কাছে পূজা মানে সেজেগুজে ঠাকুর দেখতে যাওয়া নয়।

ওদের পূজা মানে দুইটা পয়সা বেশি আয়ের জন্য খদ্দেরের অপেক্ষা করা। চরম ব্যস্ততার মধ্যেই তাই দুর্গাপূজার কটা রাত কাটে তাদের। কেননা এই সময়টা শুধু ‘বাঁধা খদ্দের’রা আসেন না তা নয়। আসে ‘ফ্লাইং কাস্টমার’ও। শহরতলী থেকে কাতারে কাতারে মানুষ প্রতিমা দর্শন করতে আসেন কলকাতায়।

তবে প্রতিমা দর্শন যে নেহাতই অছিলা তা হাড়েহাড়ে টের পান যৌনকর্মীরা। তল্লাট জুড়ে এ সময় বহু অচেনা মুখ। চোখেমুখে অস্বস্তি দেখলেই রানি, সোনালিরা টের পেয়ে যান, এরা একবারের ‘খদ্দের’।

পূজা দেখার নাম করে যৌনকামনা চরিতার্থ করতেই ঢুকে পড়েছেন নিষিদ্ধপল্লির অন্ধকারে। অতএব ঝোপ বুঝে কোপ মারতে তারাও দ্বিধা করেন না। চড়া ‘রেট’ হেঁকে বসেন। আর পূজার সময় এই ‘কাস্টমার’রা তা দিয়েও দেন। কোন বাকবিতণ্ডা ছাড়াই৷ ফলে যত খদ্দের বেশি ধরা যায়, তত লাভের মুথ দেখেন এরা৷ আর তাই চড়া রেটে তুমুল ব্যস্ততায় পেরতে থাকে সোনাগাছির রাত৷

কিন্তু এইসব দিনে বাঁধা বাবুরা যান কোথায়? যৌনকর্মীরাই জানাচ্ছেন, শাড়ি, টাকা দেয়ার ভয়ে পূজার কটাদিন গা ঢাকা দেয় তারা। পূজা শেষ হয়ে গেলে আবার তাদের দেখা মেলে। এটাই এখানকার চিরাচরিত রীতি। তখন আবার পুরনো ‘রেট’৷ তবে হাতে গোণা কিছু ‘বাবু’ অবশ্য তাদের আবদার মেটায়।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: