সংলাপ বর্জন, কাদের সিদ্দিকীর ১৮ দফা

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ০৪:৪২ পিএম

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুন:প্রতিষ্ঠাতা বলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুতার পদত্যাগ দাবি করেছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। দলটি ১৮ দফা প্রস্তাব দেয়। সেই সঙ্গে আড়াই ঘণ্টা ধরে আলোচনার এক পর্যায়ে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সংলাপ বর্জন করেছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।

ইসির ধারবাহিক সংলাপের ৩৪ তম দল ছিল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। প্রথমবারের মতো ইসির সংলাপে এমন ঘটনার মুখোমুখি হল। সোমবার সকালে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ২৭ জনের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। সিইসি কে এম নূরুল হুদা, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বেলা ২ টার দিকে সংলাপ থেকে বের হয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “নির্বাচন কমিশনে আমাদের বক্তব্য অব্যাহত রাখতে পারি নাই। আমরা আলোচনা বয়কট করে চলে এসেছি।” তিনি জানান, ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশনে সিইসি বাকি চারজনের সঙ্গে আলোচনা না করে একাই জিয়া নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। গতকাল (বিএনপির সংলাপে) সিইসি টোটাল কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে নয়। তিনি এককভাবে বলেছেন জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করেছে।

এরপরই সিইসির বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্ন মত পোষণ করে সংলাপ বর্জনের কারণ তুলে ধরেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, “আমরা আলোচনা বয়কট করেছি এই জন্য যে, যদি জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করে থাকে তাহলে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে কেউ না কেউ হত্যা করেছে। তাহলে সেই হত্যা করা, বাতিল করা, স্থগিত করা বা নির্বাসনে দেওয়া গণতন্ত্রকে পুন:প্রতিষ্ঠা করেছে জিয়াউর রহমান। তার (সিইসি) এই বক্তব্যের সাথে আমরা একমত না।”

অপরদিকে, সংসদ ভেঙ্গে নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা বহাল, ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে আসন পুননির্বন্যাস, সেনা মোতায়েন, ইভিএম চালুসহ ১৮ দফা সুপারিশ করেছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।

বিডি২৪লাইভ/এস এ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: