বিদেশে যেতে পারবেন না খালেদা জিয়া

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৭, ১১:৪৭ এএম

এক লাখ টাকা মুচলেকা দিয়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালত বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) তাকে জামিন দেন। পাশাপশি আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি আর বিদেশে যেতে পারবেন না বলে রায় দিয়েছেন আদালত।

এরআগে আইনজীবীদের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এদিকে আগেই আদালতে তার আইনজীবীরা উপস্থিত হয়েছেন। বেগম জিয়া আদালত প্রাঙ্গনে পৌঁছলে আইনজীবীরা তাকে বরণ করে ভেতরে নিয়ে যান।

চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে ছিলেন খালেদা জিয়া। বুধবার বিকালে তিনি দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে এ দুই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ দুপুর ১২টায় তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইবেন। আদালত তাকে জামিন দেবেন এটিই আমরা আশা করছি। আদালত পাড়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড় দেখা গেছে।

এদিন খালেদা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য সুযোগ চাইবেন বলে জানা গেছে।

গত ১২ অক্টোবর মামলা দুটিতে খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির কার্যক্রম শেষ করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ ঠিক করে দেন। আর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি জেরার পর্যায়ে রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।

মামলায় বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, তার তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানকে আসামি করা হয়।

অপরদিকে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।

২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, প্রাক্তন এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়। দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।

বিডি২৪লাইভ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: