দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করবে স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন!

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৭, ০৩:২৭ পিএম

চলতি পথে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। সেই দুর্ঘটনা থেকে জনসচেতনতা বাড়াতে স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং নিয়ে এসেছে চমৎকার একটি নতুন ফিচার এস-বাইক মোড। এই ফিচার মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি করবে বলে দাবী করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এই ফিচারটি যখন ফোনে চালু থাকবে, তখন ফোন কল বা নটিফিকেশন ব্যবহারকারীকে বিরক্ত করবে না। বাইক চালানো অবস্থায় এই মোডটি ইনকামিং কলগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে। কুইক অ্যাক্টিভেশন, আর্জেন্ট কল এলার্ট সিস্টেম এবং মোশন লক এই তিন মাধ্যমে মোডটি কাজ করে।

জরুরি ফোন কলের জন্যও আছে চমৎকার সমাধান। এই মোডের মাধ্যমে ব্যবহারকারী কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নম্বর চিহ্নিত করে রাখতে পারবেন, যার ফলে গাড়ী চালানো অবস্থাতেও নোটিফিকেশন পাবেন। যদি কলটি জরুরি হয়, তাহলে কলার ১ প্রেস করলে ব্যবহারকারীর কাছে কলটি পৌঁছে যাবে। স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি সিরিজের জে৭, জে৭ প্রো, জে৭ প্রাইম, জে৭ ম্যাপ, জে৭ নেক্সট, জে৭ ১৫, জে৭ ১৬ ও জে২ ১৬ এই ফোনগুলোতে এস-বাইক মোড ব্যবহার করা হয়েছে।

স্যামসাং কর্তৃপক্ষের দাবি, বাজারের অন্যান্য স্মার্টফোনগুলো যখন ঝকঝকে ছবি কিংবা সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বৃদ্ধিকারী উচ্চমানের শব্দে গান শোনানোর আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত, সেখানে স্যামসাংয়ের এই জীবনমুখী আয়োজনকে সাধুবাদ জানানোই যায়। উন্নত থেকে উন্নততর সেলফি ক্যামেরা কিংবা হাই ভলিউমের সাউন্ড সিস্টেমই স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোর কাছে ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চাহিদার এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে প্রযুক্তিকে দৈনন্দিন জীবনে ইতিবাচকভাবে ব্যবহারের কারণে স্যামসাং স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের পক্ষ থেকে বিশেষ ধন্যবাদ পেতেই পারে। এরকম নতুন নতুন উদ্ভাবন আরও আসবে, জীবন-যাপনকে আরও সহজ করবে- এটাই প্রত্যাশা।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এ ধরণের দুর্ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই হচ্ছে। এর মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ দুর্ঘটনাই ঘটে পথচারীর অসচেতনভাবে রাস্তা পারাপারের কারণে, যারা ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হয়।’

উল্লেখ্য, কানে হেডফোন লাগিয়ে মোবাইলে কথা বলতে বলতে রেল লাইন ধরে হাঁটছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শান্তনা বসাক (২৫)। ঠিক ওই সময়েই ট্রেনে কাটা পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তার। দুর্ঘটনাটা ঘটে গত বছরের ২৮ আগস্ট। শান্তনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওবায়দুল্লাহ (২৫) ২০১৬ সালের ২০ মে মাসে কমলাপুরগামী ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা যান, তাঁর এক হাতে ছিল আইসক্রিম আর কানে ছিল মোবাইল ফোন। ঘটনা ঘটে তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়ায়, বহু মানুষের সামনে। ওবায়দুল্লাহ অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারে পড়তেন।
এছাড়া একই বছর ১৪ জুলাই মাদারীপুরে এক বাসের চালক মোবাইল ফোনে কথা বলতে গিয়ে অন্যমনস্ক হয়ে পড়েন। গাড়ি একটা গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায় এবং ছয়জন নিহত হয়।

বিডি২৪লাইভ/এমএম/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: