এলডিপির ১২ দফা প্রস্তাব

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৭, ০৪:৫৬ পিএম

সংসদীয় আসনের বিদ্যমান সীমানা বহাল, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতো করে সেনা মতোয়েনসহ ১২ দফা প্রস্তাব দিয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দলটির প্রেসিডেন্ট অলি আহমেদের নেতৃত্বে ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সংলাপে এ সুপারিশ দিয়েছে। এরমধ্য দিয়ে দিয়ে নিবন্ধিত ৪০ টি দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ হল। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অলি বলেছেন, প্রতি ১০ বছর পর পর সীমানা পুননির্ধারণের জন্য ব্যবস্থা করতে হয়। এটা ব্যয় বহুল ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। পৃথিবীর অনেক সভ্য দেশেও এ ব্যবস্থা চালু নেই। এজন্য ২০১৩ সালে যে নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে কারো আপত্তি রয়েছে বলে মনে করি না। এজন্যে সীমানা পুননির্ধারণে কাজ বন্ধ করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

তিনি জানান, ভোটের ১৫ দিন আগ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সেনা মোতায়েন অপরিহার্য। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সেনার তদারকি ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুরূপ ক্ষমতা দেওয়া জরুরি।

বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ও ফিংগার প্রিন্ট নেওয়ার সুপারিশসহ ইভিএম চালুর বিষয়ে সবার ঐক্যমত নেওয়ার পক্ষে এলডিপি।নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব না থাকলেও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে দেশের প্রয়োজনে নতুন আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান অলি আহমেদ।

তিনি লিখিত প্রস্তাবে বলেছেন, ১৯৭৯ ও ১৯৯১ সালের ভোট ছাড়া অন্য নির্বাচনগুলো ছিল বিতর্কিত। ইসির রোডম্যাপ বিভ্রান্তিকর, সময়ক্ষেপন ও অহেতুক জন অর্থ ব্যয়ের একটি প্রস্তাব। সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসির ভূমিকা আরো স্পষ্ট হওয়া উচিত।

১৬তম সংশোধনীর প্রসঙ্গ টেনে তিনি উল্লেখ করেন, ১০ম ও ১১তম সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে রায়ে বলা হয়েছে। ইসিকে শক্তিশালী করারও নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। “কিন্তু এ ব্যাপারে সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। ইসি এখনও দৃশ্যত কোনো পদক্ষেপ নেয় নি। জাতি আজ গভীর সংকটে নিমজ্জিত।”

 

বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: