ঘরে মধ্যেই হাঁটু পানি: ভোগান্তিতে মানুষ

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৭, ০৭:৫০ পিএম

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে অবিরাম বর্ষণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো সাভার আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে শিল্প কারখানার শ্রমিকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। কারণ অতি বর্ষণেল ফলে প্রায় দোকান পাট বন্ধ ও বিভিন্ন স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ছিল কম। অনেকে বাধ্য হয়ে বের হলেও চরম বিপাকে পড়েছেন। শনিবারও (২১ অক্টোবর) সারাদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিলো। 

সাভার আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোগান্তির যেন শেষ নেই। ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সাভার বাসস্ট্যান্ড হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। অন্যদিকে নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার ডিইপজেড থেকে বলিভদ্র পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার হাঁটু পানি। আবার বাইপাইল আবদুল্লাপুর মহাসড়কের ইউনিক ও জামগড়া ও জিরাবোতে হাঁটু পানি। যানবাহনের চলাচল করতে পারছে না। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অটো বা রিকশা উল্টো আহত হচ্ছে যাত্রীরা। সারাদিনের পরিবেশ ছিল আঁধারে ঢাকা। বর্ষণের কারণে অনেকেই ঘর থেকে বের হতে দেখা যায়নি।

বিশেষ প্রয়োজনে যারা বের হয়েছেন তাদের দুর্ভোগের সীমা ছিল না। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন শিল্প কারখানার লাখ লাখ শ্রমিকরা। বাধ্য হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ও দীর্ঘ পথ পায়ে হেটেঁ কারখানা যেতে হয়েছে। আবার যানবাহন সঙ্কটেও গন্তব্য পৌঁছাতে গুনতে হচ্ছে বেশি ভাড়া। এছাড়া মহাসড়ক ছাড়াও সাভার আশুলিয়ার প্রায় আঞ্চলিক সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়াও ঘর বাড়িত পানিতে ডুবে গেছে। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন সড়কে বা অন্যের বাড়িতে।

বিভিন্ন এলাকাবাসী অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, পানি নিষ্কাসনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় টানা বৃষ্টি হলেই চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিষয়গুলো নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা করলেও কোন প্রতিকার নেই।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদের ঢাকা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, পানি নিষ্কাসনের যেসব নদী খাল রয়েছে প্রায় দখল হয়ে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে পানি নিষ্কাসনের সমস্যা তৈরি হয়েছে ও বেশি বৃষ্টি হলেই মহাসড়ক ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কগুলো পানিতে ডুবে যায়।

নদী ও খাল দখলমুক্ত করার বিষয়ে আশুলিয়ায় ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. লুৎফর রহমান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানান, ঢাকা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সম্প্রতি আশুলিয়ার বিভিন্ন নদী ও খাল দখল মুক্ত করার জন্য জরিপ করার কাজ শুরু হয়েছে। জরিপ শেষে প্রতিবেদন দেয়া হবে। সে আলোকে দ্রুতই নদী ও খাল দখলমুক্ত করার কাজ শুরু হবে। অবৈধভাবে যারা নদী ও খাল দখল করে রেখেছেন তাদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিডি২৪লাইভ/এমআর

  

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: