জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ যুগ পূর্তিতে শোভাযাত্রা

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৭, ০৬:২৯ পিএম

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ যুগ পূর্তিতে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে প্রতিটি বিভাগের শিক্ষক-ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ। সংগীতানুষ্ঠান, আলোচনা সভা, ও কনসার্টের মধ্যদিয়ে শেষ হয় আশা জাগানিয়ার ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যুগ’। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যুগ উপলক্ষে জবি ক্যাম্পাসে বসেছে নবীন-প্রবীণের মিলনমেলা।

রবিবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৯টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের নেতৃত্বে ব্যান্ডদলে সুসজ্জিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রাটি শহীদ মিনার চত্বর হতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রায় সাহেব বাজার মোড় ঘুরে, ভিক্টোরিয়া পার্ক পরিক্রমণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা রঙ-বেরঙের টি-শার্ট ও শাড়ি পরে নেচে-গেয়ে র‌্যালিতে অংশশ্রহণ করেন।

হাটি হাটি পা করে এক যুগ পার করলো দেশের অন্যতম উচ্চশিক্ষার আদর্শ বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। অনেক প্রতিবন্ধকতার পার করে একযুগ পূর্ণ করা বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের ফলাফল ও একাডেমিক শৃঙ্খলা এখন নতুন সৃষ্টি হওয়া যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে রোল মডেল বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

&dquote;&dquote;

দেশের ইতিহাসে একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় এটি, যা স্কুল থেকে কলেজ, কলেজ থেকে আবারও অবনমন, এরপর ফের কলেজ এবং তা থেকে বিশেষ অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়া একমাত্র উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সময়ের বিবর্তনে মাত্র সাড়ে ৭ একরের ছোট্ট একটি ক্যাম্পাসে ২০ হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্ন বুননের এক বৃহৎ পরিধি হয়ে দাঁড়িয়েছে এক সময় এটিই ছিলো ঢাকার উচ্চ শিক্ষার সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। আইএ, আইএসসি, বিএ (পাস) শ্রেণি ছাডাও ইংরেজি, দর্শন ও সংস্কৃতিতে অনার্স এবং ইংরেজিতে মাস্টার্স কোর্স চালু হয় এখানে। তবে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সংশিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে জাতীয় সংসদে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ পাস হয়। এরপর একই বছরের ২০ অক্টোবর এক আদেশে জগন্নাথ কলেজকে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে’ রূপান্তর করে তৎকালীন সরকার।

ইতিহাস বলে, ১৮৫৮ সালে ঢাকা ব্রাহ্ম স্কুল দিয়ে শুর হয় আজকের জবির শুরটা। ১৮৭২ সালে বালিয়াটির জমিদার কিশোরী লাল রায় তার বাবা জগন্নাথ রায় চৌধুরীর নামে এ বিদ্যাপীঠের নামকরণ করেন। ১৮৮৪ সালে এটি একটি দ্বিতীয় শ্রেণির কলেজ ও ১৯০৮ সালে প্রথম শ্রেণীর কলেজে উন্নীত হয়।শিক্ষার পাশাপাশি বাংলা ও বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন এবং সংগ্রামে শামিল হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। রয়েছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ’৬২-তে সামরিক সরকারের শিক্ষানীতির বিরদ্ধে প্রতিবাদ, ’৬৬-এর ছয়দফা দাবি, ’৬৮-এর এগারো দফা,’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রমের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস

বিডি২৪লাইভ/এস এ

 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: