অপেক্ষা কয়েক ঘন্টার...

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৭, ০৭:৫২ পিএম

এম শরীফ আহমেদ,
ভোলা থেকে:

ঘড়িতে ১২টা হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয়ে যাবে ভোলার মেঘনায় মাছ ধরার ধুম। ইলিশ প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা বন্ধ করছে সরকার। ২২দিন পর আজ রাত ১২টা থেকে ভোলার মেঘনায় শুরু হচ্ছে মাছ শিকার। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জেলার ২ লাখ জেলে পরিবারে দেখা দিয়েছিল হাহাকার।যদিও সরকার ১লাখ ৩২ হাজার জেলেদের তালিকা তৈরি করেন প্রতিমাসে ২০ কেজি করে চাল দিয়ে তাদের অভাব মোচনের কথা ছিলো। কিন্তু জেলেরা তাদের চাউল বুঝে পায়নি।

নিষেধাজ্ঞার কারণে জেলেরা নির্বিঘ্নে নদীতে মাছ শিকার করতে না পারায় আজ নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরার আনন্দে ভোলার জেলেপল্লীতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য  করা গেছে। ভোলার-ইলিশা,চরফ্যাশন,মনপুরা, লালমোহন, দৌলতখান, হাকিমুদ্দিন, তজুমুদ্দিনের জেলেপাড়া গুলোতে গিয়ে দেখা যায় তাদের চোখে-মুখে আনন্দের ঝিলিক।মাছ ধরার প্রস্তুতি নিতে জেলেরা এখন মহাব্যস্ত।

ইতোমধ্যে নৌকা মেরামত, জাল ঠিক করা, নৌকার দাঁড় তৈরি করা, রাত জেগে নদীতে থাকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে তারা। এমনকি অনেকে দাদন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।জেলেদের দেখে মনে হয় এখন দম ফেলার যেন সময় নেই তাদের।২২দিন মাছ ধরতে না পারায় এ পরিবারগুলো যেন হাঁপিয়ে উঠেছিল। শত অভাবের মাঝেও তারা অন্য পেশায় না গিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনেছে।

আলাপের সময় জেলে জসীম মাঝি ও আঃ হাই মাঝি জানান,আজ রাত থেকে তো নদীতে মাছ ধরতে নেই মানা। এখন দেখমু
আমাগোরে আর কে বাধা দেয়।তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা সরকারের নিয়ম মাইন্যা না খাইয়া মরছি, আর কেউ কেউ তো পলাইয়া পলাইয়া মাছ ধইরা অনেক টাকা বানাইছে। ইকোফিশ প্রকল্প  ম্যানেজার টিএস সোহেল মাহমুদ জানান,ভোলা জেলায় ২ লক্ষাধিক জেলে থাকলেও এদের মধ্যে সরকারের জেলে কার্ড আছে ১লাখ ১৭ হাজার জনের।সম্প্রতি ১৫ হাজার জেলেকে নতুন নিবন্ধন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন,প্রতি নিষেধাজ্ঞার সময়  জেলেদেরকে সরকারি সহযোগীতা করা হলেও তা আশানুরূপ ও সঠিক সময়ে জেলেদের মাঝে বন্টন করা হয় না।এজন্য অনেক জেলেরা সরকারের চোঁখ ফাকি দিয়ে নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ ধরতে বাধ্য হয়।বাকী জেলেদেরকে দ্রুত নিবন্ধন করে নিষেধাজ্ঞার সময় সকল জেলেদেরকে সরকারি সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।

বিডি২৪লাইভ/এস এ  
 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: