ভোটে বোরকায় ‘চেহারা উন্মোচিত’ রাখতে হবে

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০১৭, ০৯:৪৭ পিএম

ভোট দেয়ার সময় চেহারা উন্মোচিত রাখতে হবে জানিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, সংলাপে কিছু দল বলেছে যে বোরকা পড়ে মুখ ঢেকে জাল ভোট দেয়। তখন আমরা বলেছি যখন তারা ভোট দিবে তাদের চেহারা উন্মোচিত রাখতে হবে। 

সোমবার (২৩ অক্টোবর) নারী নেত্রীদের সঙ্গে সংলাপে হেলালুদ্দীন আহমদ এ কথা বলেন। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এই সংলাপের সভাপতিত্ব করেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা। সংলাপে নারী নেত্রীরা বক্তব্য দেয়ার আগে তাদের উদ্দেশে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আমারা এ পর্যন্ত ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল সহ যাদের সঙ্গে মতবিনিময় করলাম তাদের কয়েকটি প্রস্তাব তুলে নিয়ে আসছি সেগুলো আপনাদের বলবো। 

তিনি বলেন, যখন পুরুষরা বাড়িতে থাকেনা তখন যারা ভোট চেতে যায় তারা নারীদের ধর্মীয় অনুভুতিকে ব্যবহার করে। অনেকে কোরআন শরীফ হাতে নিয়ে যায়। সপথ গ্রহণ করায় তুমি ওমুককে ভোট দিও। আর একটা হলো বোরকা পড়ে মুখ ঢেকে গিয়ে ভোট দিচ্ছে। তখন আমরা বলেছি না এটি যখন তারা ভোট দিবে তাদের চেহারা উম্মোচিত রাখতে হবে। হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ৩০০ টি আশনের মধ্যে ১০০ টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে এমন প্রস্তাব এসেছে। এবং এই ১০০ টি আসনে সরাসরি ভোট দিতে হবে।

প্রগতিশিল দল যারা বামপন্থি রাজনৈতিক দগুলোও এ কথা বলেছে। তিনি বলেন, ইসির নিবন্ধিত ৪০ টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ১৮ টি রাজনৈতিক দল কিন্তু ইসলামি রাজনীতি করে ।তারা দলে ৩৩ শতাংশ নারীদের অংশগ্রহনে বিরোধিতা করেছে। তারা বলেছে যে না এই ৩৩ শতাংশ এটা করা যাবে না। এটা কমিয়ে আনাতে হবে, না হলে বাদ দিতে হবে। 
 
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধান অনুসারে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি সহ সব পর্যায়ে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করার বিধান রয়েছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চালু হয়েছে ২০০৮ সাল থেকে। ইতোমধ্যে আট নয় বছর পার হয়ে গেছে কিন্তু খুব একটা অগ্রতি হয়নি। 

এর সময়সীমা আমরা ২০২০ সাল পর্যন্ত দিয়েছি। রাজনৈতিক দলগুালোকে আমরা চিঠিও দিয়েছি তারা আমাদের সময় চেয়েছেন ৩৩ শতাংশ তারা করবে বলেছে। ৭ টি দল আমাদের কাছে আরও সময় চেয়েছে। এর ১৮ টি ইসলামিক দল বলেছে ৩৩ শতাংশ রাখাই যাবেনা বরং নারী শাখা হিসেবে তাদের একটি সংগঠন দার করতে চেয়েছে তারা। তাদের দলে তারা একটি নারী শাখা রাখতে চায়। এ ধরনের কিছু প্রস্তাবনা আমাদের দিয়েছে। আজকের সংলাপে ইসি ২২ জন নারী নেত্রীকে আমন্ত্রণ জানালেও অংশগ্রহণ করে ১৩ জন।

এরা হলেন- নারী প্রগতি সংঘের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রোকেয়া কবির, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের জেলারেল সেক্রেটারি পারভীন সুলতানা ঝুমা, ফর ইউ ফর এভারের (ফাইফে) প্রেসিডেন্ট রেহানা সিদ্দিকী, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব উইমেন ফর সেলফ এমপাওয়ারমেন্টের (বাউশী) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাহবুবা বেগম নিরু, নারী উদ্যোগ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মাসহুদা খাতুন শেফালী, ডিজ্যাবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিআরআরএ) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মালেকা বানু, নারী নেত্রী রেখা চৌধুরী, রিনা সেন গুপ্তা, মনসুরা আকতার।

বিডি২৪লাইভ/এস এ  
 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: