সবুজ পাহাড়ের সাথে নীল আকাশের মিতালী

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৭, ০৯:৫২ পিএম

দেশের ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছে দ্রুত পরিচিতি পাচ্ছে বান্দরবানের থানচি-আলীকদমের ডিম পাহাড়। দেশের সবচেয়ে উঁচু এই সড়ক দেখতে ভ্রমণপিপাসু মানুষ পুরো বছর জুড়েই আসেন আলীকদম-থানচি সড়কে। পুরো ৩০ কিলোমিটার জুড়ে পাহাড়ের ভাজে ভাজে তৈরি এ সড়কে দাঁড়িয়ে দেখা যায় দিগন্তজোড়া সবুজ পাহাড়ে আকাশ আর মেঘের মিতালী।

প্রকৃতির অনাবিল সৌর্ন্দয্য আর স্থানীয় ১১টি ক্ষুদ নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠীর বৈচিত্রময় জীবনধারা এই সবুজ পাহাড় আর সড়কটিতে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু সড়কটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত। মেঘমুক্ত আকাশে সড়কটিতে দাঁড়িয়ে দেখা যায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নীল জলরাশির ঢেউ। সাথে চোখে পড়বে নীল সাগরে ভেসে বেড়ানো সারি সারি নৌজান।

প্রাকৃতিক কারণে অনেকসময় একইদিনে গ্রীস্ম, বর্ষা ও শীতের আমেজ পাওয়া যায় ডিম পাহাড়ে। পথের দু’পাশের ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জুমঘর ও জুমের পাশে শিশুদের দুরন্তপনা যে কোনো মানুষরে মনকে দোলা দিয়ে যাবে।
    
যেভাবে যাবেন ডিম পাহাড়: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া বাসটার্মিনাল থেকে আলীকদমের বাস অথবা চাঁদের গাড়িতে চড়ে আলীকদম নেমে চাঁদের গাড়ি অথবা মোটরসাইকেলে চেপে পৌছে যেতে পারেন ডিম পাহাড়ে।

এছাড়াও দেশের যে কোন স্থান থেকে বান্দরবান পৌছেও যাত্রা করতে পারেন থানচি আলীকদম সড়কের উদ্দেশ্যে। সেক্ষেত্রে বান্দরবান শহর থেকে মিনি বাস, চাঁদের গাড়ি, তিন চাকার মাহিন্দ্র, জিপে চড়তে পারেন।

তবে থানচি-আলীকদমের ডিম পাহাড় ভ্রমন করতে আসা ভ্রমন পিপাসুদের এই সড়কে যাত্রা করতে কিছু সাবধাণতা অবলম্বন করা জরুরী। এই সড়কটি ঢালু আর আকাঁবাকাঁ হওয়ায় যানবাহন চালনার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হয়। তাছাড়া পাহাড়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ আর জীবনাচরণে বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে এমন কাজ করা উচিত নয়। পাহাড়ে ভ্রমনের সময় স্থানীয় অধিবাসীদের অনুমতি নিয়ে ছবি তোলা উচিত।

বিডি২৪লাইভ/ইম

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: