শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নেই বিএনপির

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ১২:৩৭ পিএম

জাতীয় কাউন্সিলের পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার প্রায় দেড় বছরের অধিক সময় পার হয়ে গেলে দলের স্থায়ী কমিটির দুটি শূন্যপদে কারও নাম ঘোষণা করেনি দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দল বিএনপি।

এ ছাড়াও দলের আরও স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য আ স ম হান্নান শাহ ও এম কে আনোয়ারের মৃত্যুর পর শূন্যপদের সংখ্যা হয় চার। এর মধ্যে হান্নান শাহের মৃত্যুর প্রায় এক বছর পার হলেও ফাঁকা পদ পূরণ হয়নি।

দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দ্রুত শূন্যপদ পূরণ করবেন বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা এমনটা দাবি করলেও সহসা এ নিয়ে আর তেমন আগ্রহীরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

দলীয় সূত্র মতে, শুধু স্থায়ী কমিটিতেই নয়, ভাইস চেয়ারম্যানসহ কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক পদেই শূন্যতা রয়েছে। আবার অনেকই দায়িত্ব পাবার পরে দলটির এক নেতা পদ নীতির কারণে এবং অনেকে অভিমানেও পদ ছেড়েছেন। তবে কবে নাগাত এইসব শূণ্যপদে নতুন সদস্য আসবে তার সঠিক কোনো তথ্যও জানা নেই এসব নেতাদের কাছে।

এদিকে, দীর্ঘদিনেও শূন্যপদ গুলো পূরণ না হওয়ায় পদ প্রত্যাশী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। এ নিয়ে অনেকে বিভিন্নভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও তবে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে নারাজ।

বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের শূন্যপদগুলো পূরণের একমাত্র এখতিয়ার রয়েছে দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার। তিনি যখন যাকে চাইবেন তখনই তাকে নিয়োগ দিতে পারবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বিডি২৪লাইভকে বলেন, বিএনপির অনেক নেতাই কেউ প্রাকৃতিক নিয়মে কেউ বা স্ব ইচ্ছায় পদ ছেড়ে দিয়েছেন। তবে ওই শূন্যপদ গুলোতে নতুন করে কাউকে নেয়া হয়নি। কবে নাগাদ নেয়া হবে সে বিষয়েও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা নেই। দলের কাঠামো ঠিক রাখতে ও গতি ফেরাতে ওই সব শূন্যপদগুলো পূরণ করা খুব জরুরি। প্রায় তিন মাস পর আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে এসেছেন। আমরা আশা করছি খুব শ্রীঘ্রই আমরা আবারও আমাদের গতি ফিরে পাব।

২০১৬ সালের ৬ আগস্ট দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৫০২ জন সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন। ওই কমিটিতে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য হয়েছেন ১৯ জন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রাখা হয়েছে ৭৩ জনকে, ভাইস-চেয়ারম্যান হয়েছেন ৩৫ জন এবং যুগ্ম মহাসচিব হয়েছেন ৭ জন। তবে ওই কমিটি ঘোষণার সময় স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্যের নাম বাদ রাখা হয়। আগের কমিটি থেকে সারওয়ারী রহমান ও শামসুল ইসলামকে বাদ দিয়ে স্থায়ী কমিটির ১৭ জনের নাম ঘোষণা করা হয় ওই সময়। তবে বলা হয়েছিলো, দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকি দুজনের নাম ঘোষণা করা হবে।

স্থায়ী কমিটির ১৭ জন সদস্যের মধ্যে ১৫ জন হলেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (পদাধিকারবলে), সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান (পদাধিকারবলে), খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, আ স ম হান্নান শাহ, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (পদাধিকারবলে)। ১৯ নম্বরে রাখা হয় সালাউদ্দিন আহমেদকে। তবে শুরু থেকে ফাঁকা ছিলো ১৭ ও ১৮ নম্বর সদস্যের পদ। ৮ নম্বরে ছিলেন হান্নান শাহ। আর এম কে আনোয়ার ছিলেন ৯ নম্বরে।

বিডি২৪লাইভ/এএইচআর
 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: