বুড়িচংয়ে দাদার ধর্ষণে প্রতিবন্ধী কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ০৪:৪৬ পিএম

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের লাড়িবাগ গ্রামে দাদার ধর্ষণেরর ফলে ১৪ বছরের প্রতিবন্ধী নাতনী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল পায়তারা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার লড়িবাগ গ্রামের উত্তরপাড়ার মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মো: সুলতান আহাম্মদ (৬৫) একই বাড়ির নিজের ভাতিজা বাচ্চু মিয়ার বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে রাতে টাকার লোভ লালসা দেখিয়ে ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণ করে।

এতে প্রতিবন্ধী ঐ মেয়ের গর্ভে বাচ্চা আছে মা বিষয়টি অনুমান করে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে বিষয়টি সুলতান আহম্মদ কর্তৃক ধর্ষণ হওয়ার ঘটনা প্রকাশ পায়।

এতে সুলতান আহাম্মদ মেয়ের মাকে গবীর অসহায় দিনমজুরের মেয়ের অন্তঃসত্ত্বার কারণ পারিবারিক লোকদেরকে জানালে অভিযুক্ত সুলতান আহাম্মদ অর্থের লোভ দেখিয়ে ব্রাহ্মণপাড়া একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত ঘটায়। পরবর্তীতে স্থানীয় প্রভাবশালী, অর্থশালী সুলতান আহাম্মদ গ্রামের এবং বাড়ির লোকজনকে কলা কৌশলে অর্থনীতিক সুবিধা প্রদান করে বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।

স্থানীয় হুমায়ুন কবির (লড়িবাগ) পিতা লাল মিয়া আবুল বাশার (চড়ানল পশ্চিমপাড়া) পিতা আবুল কাশেম মোসলেহ উদ্দিন পিতা মৃত বজলু মিয়া, আ: জলিল পিতা ঐ সাং চড়ানল পশ্চিমপাড়া, শাহ আলম পিতা মৃত আবদুর রাজ্জাক সাং লড়িবাগ, ময়নাল হোসেন পিতা মৃত মুহাম্মদ আলী সাং লড়িবাগ, আ: হালিম পিতা মৃত কেরামত আলী, সাং চড়ানল সহ স্থানীয় লোকজনরা ৩ লক্ষ টাকা মেয়ের পরিবারকে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

এই ব্যাপারে স্থানীয় জনমনে অসহায় এবং গরীব পরিবারের নিরীহ লোকদের প্রতি ধামাচাপার বিষয় বুড়িচং উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিকদের জানালে কতিপয় হলুদ সাংবাদিক হারুনুর রশিদ যুগান্তর বুড়িচং প্রতিনিধি, কুমিল্লার আলো বুড়িচং প্রতিনিধি মো: আবদুল মোমেনসহ অন্যান্য সাংবাদিকগনসহ বুড়িচং থানার ডিএসবি কনষ্টেবল আবু তাহের কতৃক প্রচুর অর্থের বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

এই বিয়য়ে অনুসন্ধানে গিয়ে জনসাধারণের কাছে জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, বর্তমান ইউনিয়নের মেম্বার মো: ইকবাল হোসেন নিজেই সাংবাদিক এবং ডিএসবি কনস্টেবল আবু তাহের সহ অন্যদেরকে প্রচুর অর্থ প্রদান করেছেন। এতে সাধারণ অসহায় গরীব প্রতিবন্ধী একজন কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা এবং গর্ভপাত্র উভয় আইনের কঠোর শাস্তির বিধান থাকলেও প্রতিনিয়ত লোভী সমাজের প্রতিপত্তিরা তাদের হেন অপরাধ একের পর এক ধামাচাপা দিচ্ছে। নির্ভৃতে অসহায়রা বিচারের জন্য দ্বারে ঘুরে বেড়ালেও প্রকৃত বিচার পাচ্ছে না।

এই ব্যাপারে লড়িবাগ গ্রামের ধর্ষিতার মা ও বাবার খোঁজে তাদের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত সুলতান আহম্মদ তাদেরকে বাড়ি থেকে অন্যত্র সড়ে থাকতে এবং কারো সাথে কথা না বলার বিধি নিষেধ করেছে।

এছাড়া আরো জানা যায়, একজন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তিনি নিজকে ফোনে নির্দোষী এবং এই ব্যাপারে বিচারে উপস্থিত ছিলেন না, তবে বিভিন্ন সাংবাদিক পুলিশের সদস্যদেরকে ম্যানেজ করার দায়িত্ব পালন করেছেন বলে তিনি স্বীকার করেছেন।

এই ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসী প্রতিবন্ধী অসহায় কিশোরী ধর্ষণকারী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: