কথিত পীরের গোমর ফাঁস করলেন চতুর্থ স্ত্রী!

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ০৭:৪৮ পিএম

এলাকায় নিজেকে বড় হুজুর (পীর) হিসেবে জাহির করেন পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কথিত পীর আলতাফ হোসেন ওরফে মিন্টু হুজুর। আর সেই পীরের গোমর ফাঁস করে দিলেন চতুর্থ স্ত্রী আছমা বেগম। স্ত্রীর অভিযোগ, তাকে বেধড়ক মারধর করে চার সন্তানকে রেখে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আর এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই কাতিথ পীর আলতাফ হোসেন ওরফে মিন্টুকে।

কলাপাড়া থানা পুলিশ জানিয়েছেন, উপজেলার দীঘর বালিয়াতলী গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। আলতাফ হোসেনকে গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এই কথিত পির বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের মাধ্যমে মানুষকে প্রতারিত করে আসছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

স্ত্রী আছমা বেগমের বরাত দিয়ে কলাপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন মিলন জানান, আলতাফ হোসেন, এলাকায় নিজেকে বড় হুজুর (পীর) দাবি করে পানি পড়া, তেল পড়া দেন। দেশের বিভিন্নস্থান, থেকে বহু লোক আসে তার কাছে তার কাছ থেকে দোয়া তাবিজ নেয়ার জন্যে। পীর সাহেব সেজে মহিলা-পুরুষকে মুরিদ করেন। মহিলা মুরিদগণ তাকে আপত্তিকর কায়দায় খেদমত করে। এসব কাজে বাধা দেয়ার কারণে কৌশলে যৌতুক বাবদ নগদ টাকা, গরু, জিনিস (স্বর্ণালঙ্কার) চায়। না দেয়ায় তার ওপর এমন নির্দয় নির্যাতন বহুবার হয়েছে।

এনিয়ে বহুবার চেয়ারম্যানের কাছে শালিস বৈঠক হয়েছে। আবার অসহনীয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয় তার ওপর।

আছমা আরো জানায়, আলতাফ হোসেন কৌশলে মারধর নির্যাতন করে এক এক করে আরও চারজন স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি নিজে কাউকে তালাক দেননি। স্ত্রীরা নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সন্তান-সন্ততি নিয়ে বাড়ি ছেড়েছে। পাঁচ স্ত্রীর সংসারে মোট নয় সন্তান রয়েছে তার। চতুর্থ স্ত্রী ছাড়া তিনি অন্য কোনো সন্তানেরও খোঁজ-খবর রাখেননি ।

১৪ নভেম্বর বেধড়ক মারধর করে বাড়ি ছাড়া করা হয়। শরীরের ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে পড়ে আছে। এ ঘটনায় আছমা বেগম কলাপাড়া থানায় বৃহস্পতিবার রাতে একটি লিখিত এজাহার দাখিল করেছেন। তিনি তার স্বামীর সকল কর্মকাণ্ডকে রহস্যময় উল্লেখ করেছেন।

গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে কলাপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন মিলন জানান, স্ত্রীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে আলতাফ হোসেনকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/ইম

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: