'ডিজিটাল মিডিয়ার গুরুত্ব বাড়ছে'

প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৫:৩৫ পিএম

মোহাম্মদ আজমাঈন রহমান (শাওন)। একজন সফল ব্র্যান্ড ম্যানেজার। তিনি ১৯৮৭ সালের ২৭ জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করেন। বাবা মৃত মোহাম্মদ খালিসুর রহমান এবং মা আফসারী রহমান দম্পতির দুই ছেলের মধ্যে তিনিই বড়। ছোট ভাই আরেফিন রহমান। আজমাঈন ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। স্ত্রী সুমাইয়া মারজান। ছাত্র জীবন থেকেই বিভিন্ন কোম্পানিতে খন্ডকালীন ইভেন্টে ব্রান্ডপ্রমোটার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। এরপর দীর্ঘবছর কনকর্ড এন্টারটেইন্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডে কাজ করেন। ২০১৬ সালে বেস্ট ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেডে’র সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করেন এবং বর্তমানেও সেখানে কর্মরত আছেন। সম্প্রতি আজমাঈন রহমান বিডি২৪লাইভ ডটকমের প্রতিনিধির কাছে এই চ্যালেঞ্জিং পেশার সমস্যা, সম্ভাবনা, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপট নিয়ে একান্ত আলাপে মিলিত হন-

বিডি২৪লাইভ : আপনার শিক্ষাজীবন সম্পর্কে কিছু বলুন?
আজমাঈন রহমান : বাবা সরকারি চাকুরিজীবী হওয়ায় কিছু দিন পরপরই আমাদের নতুন জায়গায় যেতে হতো। সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত কোনো বিদ্যালয়েই এক বছরের অধিক সময় পড়াশোনা করার সুযোগ হয়ে উঠেনি। ২০০২ সালে জামিলাআয়নুল আনন্দ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০০৪ সালে ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করি। এরপর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০৯ সালে বিবিএ ও ২০১৩ সালে এমবিএ সম্পন্ন করি।

বিডি২৪লাইভ : আপনার কর্মজীবন শুরুর প্রেক্ষাপট ও বর্তমান অবস্থান কি?
আজমাঈন রহমান : অল্প বয়েসে বাবা হারানোর কারণে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিন পার করতে হয়েছে আমার। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষে থাকা অবস্থাতেই ডিআইটিএফ-এর বাংলালিংক স্টলে ব্র্যান্ড প্রমোটার হিসেবে পার্টটাইম কাজ শুরু করি। তারপর নকিয়া, পারটেক্স ফার্নিচার, সনি এরিক্সনসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠানে ব্র্যান্ড প্রমোটার হিসাবে কাজ করেছি।

এরপর বিবিএ শেষ করে ২০০৯ সালে কনকর্ড এন্টারটেইন্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডে এক্সিকিউটিভ হিসেবে যোগদান করি। দুই বছরের মাথায় সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে প্রমোশন পাই এবং প্রায় ৪ বছর কর্মরত ছিলাম। কনকর্ডে থাকা অবস্থায় আমি ঢাকা (Fantasy kingdom) ও চট্রগ্রাম (Foy's Lake) মিলেয়ে ৩০টিরও বেশি কনসার্টের সাথে জড়িত ছিলাম। প্রথম আলো এন্টি ড্রাগ কনসার্ট, প্রথম আলো জিপিএ ৫ প্রোগ্রাম, কলকাতার চন্দ্রবিন্দু ও চ্যানেল আই সেরা কন্ঠ, কনকর্ড স্কুল স্কলারশিপ প্রোগ্রাম উল্লেখযোগ্য।

&dquote;&dquote;

২০১৩ সালের জুন মাসে এসএসএল ওয়ারলেসে এসিসট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করি। রিলঞ্চ করি ইজি ডটকম ডটবিডি। ডিজিটাল মার্কেটিং-এর আওতায় আপন জুয়েলার্স ও সজীব গ্রুপের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল মার্কেটিং-এর উপর কাজ করি। এরপর ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে সহজ ডটকমে ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সহজ ডটকম ই-কমার্স সাইট হিসেবে সারা দেশজুড়ে পরিচিতি লাভ করে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বেস্ট ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেডের সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করি এবং বর্তমানেও কর্মরত আছি। ইতোমধ্যেই ইউনিলিভার, বাংলালিংক ও গ্রামীণফোন এর মতো কোম্পানির সাথে যৌথ ক্যাম্পাইন করা, গিফট ভাউচার লঞ্চ করা ছাড়াও দেশব্যাপী ১০টির ও বেশি জেলায় ওয়্যারলপুল কুকিং একাডেমি ওয়ার্কশপ করেছি।

বিডি২৪লাইভ : পার্টটাইম চাকরি করার সময় পড়ালেখার কোন সমস্যা হয়েছে কি?
আজমাঈন রহমান : প্রাইভেট ইউনির্ভাসিটিতে পড়ার কারণে জবের টাইম টেবিল আগে ভাগেই সেটআপ করে নিতাম। কখন ক্লাস আছে, কখন ক্লাস নাই, এই বিষয়টা মাথায় রেখেই কাজ করেছি। কিছু সমস্যা হয়েছিলো তবে তা ঠিক করে নিয়েছি। পার্টটাইম চাকরির অভিজ্ঞতা সব সময়ই আমার ফুল টাইম চাকরির ক্ষেত্রে অনেক সহযোগিতা করেছে এবং ইন্টারভিউ ক্ষেত্রে ও অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে। 

বিডি২৪লাইভ : এ পেশায় চ্যালেঞ্জিং কেমন? আপনি কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন কি?
আজমাঈন রহমান : ব্র্যান্ড মার্কেটিং পেশাটা মারাত্মক চ্যালেঞ্জিংয়ের। প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে পণ্যের মার্কেটিংয়ের কাজ করতে হয়। চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রতিটি মুহুর্ত কাটে। বলা চলে এক ধরনের যুদ্ধের মধ্যে থাকতে হয়। হাজারও কোম্পানীর সাথে পাল্লা দিয়ে নিজেদের পণ্যের ব্র্যান্ডিং প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। এজন্য ব্র্যান্ড মার্কেটিংয়ের প্রতিটা স্টেপই হয়ে থাকে খুব বেশি চ্যালেঞ্জিং। মূলত ভালো কিছু করতে হলে ২৪ ঘন্টা কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে, কারণ আইডিয়া যে কোন সময়েই মাথায় আসতে পারে।

দেখুন, একেকজন মানুষ একেক ধরণের এবং প্রত্যেকজনের কনসেপ্ট আলাদা। আর এই সাত আট বছরের চলার পথে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে কমই পড়েছি। এক সময় ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করতাম, এখন কোম্পানীর জন্য কাজ করছি। ক্লায়েন্টদের জন্য যখন কাজ করতাম তখন এক ধরণের চ্যালেঞ্জ ছিল আর এখন কোম্পানীর জন্য আরেক ধরণের চ্যালেঞ্জ।

বিডি২৪লাইভ : ভবিষ্যৎ মার্কেটিংয়ের জন্য বর্তমান প্রস্তুতি কি?
আজমাঈন রহমান : দেখুন মার্কেটিং এর কনসেপ্ট প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। এখন আর আগের মতো গদবাধা মার্কেটিং করলে চলবে না। আগে শুধু প্রেস আর টিভিতে বিজ্ঞাপন দিলেই হতো, কিন্তু এখন ডিজিটাল মার্কেটিং আসার পর পুরো মার্কেটিং কনসেপ্টাই ঘুরে গেছে। এবং ডিজিটাল মিডিয়ার গুরুত্ব বাড়ছে।
তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে মুভ করতে হচ্ছে সবাইকে। বড় বড় কোম্পানীগুলো এখন বড় একটা বাজেট ডিজিটাল মার্কেটিং এর পিছনে খরচ করছে। সাধারণ মানুষ ও এখন অন্যান্য মিডিয়ার চেয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর দিকে বেশি ঝুঁকছে। ভবিষ্যতে এটার চাহিদাই আরো বাড়বে বলে আমার বিশ্বাস। সুতরাং এখনই সময় ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর আরো বেশি জোর দেয়া।

&dquote;&dquote;

বিডি২৪লাইভ : পণ্যকে পরিচিত করতে ডিজিটাল মার্কেটিং কতটুকু ভূমিকা রাখে?
আজমাঈন রহমান : পণ্যের প্রচারে ডিজিটাল মার্কেটিং এখন অনেক বড় ধরণের ভূমিকা পালন করে। একটা ব্র্যান্ড বা একটা পণ্য বা একটা সার্ভিসের প্রচার নির্ভর করে যে সেই পণ্যের উদ্দেশ্য কী, কাজটা কী এবং পণ্যটি কাদের প্রয়োজন মেটাবে তার ওপরে। ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটা মিডিয়া যার মাধ্যমে খুব সহজে এবং খুব কম খরচেই ক্রেতাদের কাছে পণ্যটি পৌঁছানো যায়।

বিডি২৪লাইভ : পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে বলে আপনি মনে করছেন?
আজমাঈন রহমান : আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে যে প্রচারেই প্রসার বা যত গুঁড় ততো মিষ্টি। অনেক কিছু বিবেচনা করেই প্ল্যান তৈরি করতে হয়। অনেক সময় পণ্যের মূল্য কমিয়ে বিক্রয় বৃদ্ধি করা হয়, কো-ব্র্যান্ডিং করা যায় - মানে বড় কোন ব্র্যান্ডের সাথে যুক্ত হয়ে মার্কেটিং করা – যেমন ওয়াশিং মেশিন কিনলে ৬ মসের জন্য ডিটারজেন্ট ফ্রি। এই ধরণের ক্যাম্পেইনগুলো সাধারণত হিট হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরণের বান্ডেল প্যাকেজ বানিয়েও বিক্রয় বৃদ্ধি করা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন রোড শো, পণ্যের ফ্রি স্যাম্পেলিং, বিভিন্ন প্রোগ্রাম / কনসার্টের স্পন্সরশিপ করার মাধ্যমেও ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা যায়।

বিডি২৪লাইভ : বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের কোন বিষয়টি বেশি প্রাধান্য দেন?
আজমাঈন রাহমান : এটা নির্ভর করে সেই প্রতিষ্ঠানের সাথে আমাদের সম্পর্কটা কেমন এবং সংবাদমাধ্যম যে সংবাদ প্রকাশ করে তার গুণগত মান কেমন। এ ছাড়াও আমরা দেখি, গুগল অ্যানালেটিক্স, বাউন্স রেট, সোর্স, এলেক্সা র‌্যাংকিং, সর্বোপরি প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ইমেজ ও ভিজিটর বা পাঠক সংখ্যা এবং বিজ্ঞাপনের মূল্য তালিকাই মূল। এই তিনটি বিষয় মিলিয়েই সাধারণত বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়ে থাকে।

বিডি২৪লাইভ : কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য নেতিবাচক খবর তৈরি করে থাকে। আপনারা বিষয়টিকে কি ভাবে মোকাবিলা করেন?
আজমাঈন রহমান : মোকাবিলা করাটা আসলে একেক সময় একেক রকম হয়। অনেক সময় আমরা আমাদের পরিচিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিষয়টাকে মিনিমাইজ করার চেষ্টা করি। আবার মূল ঘটনাটা নিয়ে সাংবাদিকের সাথে সরাসরি কথা বলি এবং পুরো বিষয়টি কিভাবে পজিটিভ করা যায় সেটাই আমাদের প্রথম চেষ্টা থাকে। সত্যি কথা বলতে কি, আপনি যদি পুরো বিষয়টি সাংবাদিকদের বুঝিয়ে বলেন, সেক্ষেত্রে অনেক সময়ই কাজটি অনেক সহজ হয়ে যায়। আর এসব ক্ষেত্রে সাংবাদিক বন্ধুরা অনেক সাহায্য করে থাকে।

বিডি২৪লাইভ : ব্র্যান্ড মাকেটিংয়ে নতুনদের কি পরামর্শ দিবেন?
আজমাঈন রহমান : পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই, তাই ভালো ভাবে পড়াশুনা করতে হবে। পড়ালেখার পাশাপাশি আউট নলেজও রাখতে হবে। এখন ইন্টারনেটের যুগ। ইন্টারনেট সর্ম্পকে প্রচুর জ্ঞান থাকতে হবে। বিশ্ব কী ভাবে চলছে তার উপর সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্ব সম্পর্কে যতো বেশি সম্ভব জানার চেষ্টা করতে হবে। প্রচুর কাজ করার মানসিকতা তৈরী করতে হবে ছোট বেলা থেকেই। সুতরাং এখনি সময়, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে, নতুন নতুন প্রযুক্তির সম্পর্কে জানার ইচ্ছা থাকতে হবে। প্রযুক্তি যে ভাবে এগুচ্ছে সেই ভাই চলতে না পারলে এক সময় হারিয়ে যেতে হবে। বই, গুগল অথবা ইউটিউব যে মাধ্যমে ভাল লাগে সেভাবেই পড়াশুনা করতে হবে। শেখার কোন শেষ নাই। তাই প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখার মন মানসিকতা থাকতে হবে এবং নতুন কাজ কে অবহেলা না করে আর বেশি মনোযোগ দিয়ে করতে হবে।

&dquote;&dquote;

বিডি২৪লাইভ : নতুনদের কী ভাবে সহযোগীতা করেন?
আজমাঈন রহমান : আমি নতুনদের ট্রেনিং দেওয়ার সময় হাতে কলমে শিখিয়ে থাকি। তাদেরকে বেস্ট ট্রেনিংটা দেয়ার চেষ্টা করি। যাতে তারা দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারে। নতুনরা শিখলে আমার জন্যই ভালো হয় কারণ কাজটি ভালোভাবে শিখলে দ্বিতীয় বার আর শিখাতে হয় না। মূলত নতুনদের সাথে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে আমার ভালই লাগে।

বিডি২৪লাইভ : তরুণদের আপনি কি দিক-নির্দেশনা দিবেন?
আজমাঈন রহমান : শিক্ষার্থী থাকা কালীন সময়েই চেষ্টা করবেন পার্ট টাইম ব্যবসা/চাকুরি অথবা বিভিন্ন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিটিজের সাথে জড়িত থাকার। যা স্বাভাবিকভাবেই আপনাকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে। প্রতিটা কাজই চ্যালেঞ্জের সাথে গ্রহন করতে হবে এবং কাজটি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। মনে রাখবেন যে কোন কাজই ফেলনা না, সেটা হোক ছোট বা বড়। ভবিষ্যতে কোন না কোন সময় এই অভিজ্ঞতা আপনার কাজে লাগবেই।

এ ছাড়া চাকরি জন্য নিজের সিভি নিজেই তৈরী করবেন। অপ্রয়োজনীয় তথ্য না দেয়াই ভালো, কারণ সিভিটা মাত্র ৩/৪ সেকেন্ড এর জন্য দেখা হয়। শুরুতে ইন্টারভিউয়ারের প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে না পেলে সিভি বাদ দিয়ে দিবে। আরপ্রেজেন্টেশন স্কিল হতে হবে স্মার্ট ও নির্ভুল, বাংলা হোক বা ইংরেজিতে হোক সেটা হতে হবে নির্ভুল ও মার্জিত ভাষায়।

শিক্ষার্থী থাকা কালীন সময়েই সেলফ ব্র্যান্ডিং শুরু করতে হবে যাতে গুগল করলে আপনার নামটি প্রথম পাতাতেই পাওয়া যায়। সেই জন্য আসল নাম দিয়েই বিভিন্ন সোশাল মিডিয়াতে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।

বিডি২৪লাইভ : আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী?
আজমাইন রহমান : আমি ভবিষ্যতে ব্র্যান্ড কনসালট্যান্ট হতে চাই এবং ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানির চিফ মার্কেটিং অফিসার হতে কাজ করে যাচ্ছি। আমি সব সময়ই একটা টার্গেট নিয়ে চলি এবং বছর শেষে মিলিয়ে দেখি কতোটুকু পূরণ হলো। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের মাঝে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই এবং তাদেরকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ : ব্যস্ততার মাঝে মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। বিডি২৪লাইভ ডটকমের জন্য কোনো পরামর্শ আছে কি?
আজমাইন রহমান : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। বিডি২৪লাইভ ডটকমের জন্য রইল আন্তরিক অভিনন্দন। এক ঝাঁক তরুণ সাংবাদিক নিয়ে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত, যা আসলেই প্রশংসার দাবীদার। সামনের পথচলা আরো ভাল হোক এই পত্যাশা করছি এবং পোর্টালটির জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো।

বিডি২৪লাইভ/এমএম/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: