‘মেয়র সাব উদ্যোগ নিলেও কাজ হচ্ছে না’

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ০২:১০ পিএম

আনিসুল হক একজন ব্যবসায়ী। তিনি প্রতিদিন মানিকনগর থেকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে কমলা বিক্রি করে থাকেন। তিনি কমলাপুর রেলস্টেশনের সড়কটি দিয়ে বাড়িতে আসা যাওয়ার সময় ময়লা-আবর্জনা স্তুপের দূর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার মতো এলাকার অনেকেই এই ময়লা স্তূপের কারণে অসুস্থ হয়েছে। 

দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ রাজধানী ঢাকাকে পরিচ্ছন্ন শহর মনে করলেও এখনো তা বাস্তরূপে দেখা যায়নি। ময়লা-আর্বজনার পচাগন্ধ নাকে এসে লাগার পর সহ্য করাই যেন নৃত্যদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেশের বৃহৎ রেলস্টেশন হলো কমলাপুর রেলস্টেশন। এখানে দেশের বিভিন্ন স্থানের লোকজন মিলিত হন তাদের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য। রেলস্টেশনের পাশের সড়কের প্রান্তে স্থানীয় বাসিন্দারা ময়লা-আবর্জনা ফেলে বড় স্তূপ করে রেখেছে। এখানে ভাসমান মানুষরা মলমূত্র ত্যাগ করছে প্রতিনিয়ত। এ ছাড়াও হাঁস, মুরগিসহ মৃত জীবজন্তু ফেলা হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন দিন দিন স্তূপের আকার বড় হচ্ছে, আবার দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে বেশি। আশে পাশের পরিবেশন নষ্ট হচ্ছে। এখানে ময়লা-আবজর্না ফেলেই শেষ নয়। ময়লা স্তূপের পাশেই মানুষ মূত্র বিসর্জন করেন। এতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরেছে পুরো এলাকায় জুড়ে। সড়কের এক পাশে ময়লা-আর্বজনার স্তূপ হলেও অপর পাশে রয়েছে খাবারে দোকান। ময়লার দূর্গন্ধে খাবারের দোকানের কাস্টমারও কমে গেছে বলে জানান আল্লাহর দান খাবার দোকানের মালিক সিরাজ। তিনি আরো বলেন, ‘মেয়র সাব অনেক বার উদ্যোগ নিলেও কাজ হচ্ছে না।’ 

কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বের হওয়া এক পথচারী বলেন, ‘আমি যতবার গ্রাম থেকে ঢাকায় আসছি, এই সড়ক দিয়ে সুস্থ ভাবে বাসায় ফিরে যেতে পারিনি। দুর্গন্ধে আমার বমি চলে আসে কিন্তু কিছুই করার নাই।’ এই ময়লার স্তূপের পাশে থাকছে ছিন্নমূল মানুষরা। কেমন করে এখানে থাকেন, জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘ময়লার ও মূত্রের গন্ধ আমাদের সঙ্গী হয়ে গেছে। সন্ধ্যা নেমে রাত পোহালেই আমরা পাশে খাওয়া দাওয়া করে আবার রাতে ঘুমিয়ে থাকি।’ 

ঢাকা সিটি করপোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম বিডি২৪লাইভকে বলেন, এই সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা আছে তা আমি জানি। অনেকবার ব্যবস্থাও নিয়েছি সড়কের পাশে পাবলিক টয়লেট করার জন্য কিন্তু জায়গা না পাওয়ার তা করতে পারিনি। আশা করি খুব দ্রুত ময়লা- আর্বজনা পরিস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।

বিডি২৪লাইভ/এনএসএস/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: