বিপিএলের ‘ফ্লপ’ একাদশ!

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৪:৪৯ পিএম

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এর পঞ্চম আসর সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গত (৪ নভেম্বর) শনিবার থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় গত (১২ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টে এবার অংশ নেয় সাতটি দল।

এবারের বিপিএলে ব্যর্থ ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে একটি একাদশ দাঁড় করাতে চেষ্টা করা হয়েছে। এটিকে ‘ফ্লপ’ একাদশও বলা যেতে পারে। এক নজরে দেখে নিন বিপিএলের সেই ফ্লপ একাদশ-

শুভাশিস রায়ঃ মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে ২২ গজেই ঝগড়া করে ক্রিকেটভক্তদের কাছে খলনায়কে পরিণত হয়েছিলেন শুভাশিস রায়। জাতীয় দলের নিয়মিত বোলার হয়েও ৫ ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়ায় তিনিই ‘ফ্লপ’ একাদশের প্রধান বোলার বলা যেতে পারে।

মিসবাহ উল হকঃ পাকিস্তানের এই সাবেক অধিনায়ককে কোন যুক্তিতে কিনে চিটাগং ভাইকিংস অধিনায়ক বানিয়েছিল, তা এক রহস্যই। ব্যাটিং গড় চোখ কপালে তোলার মতো ৪১.৫০। ৪ ম্যাচের দুটিতেই অপরাজিত ছিলেন তিনি। মোট ৮৩ রান করেছেন ভাইকিংসের অধিনায়ক, তবে ৮৩ রান করতে বল খেলেছেন ৯১টি। কিছু ম্যাচে ব্যাটিং দিয়ে শুরুতেই দলকে পিছিয়ে দিয়েছিলেন তিনি, তা থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ভাইকিংস।

সৌম্য সরকারঃ চিটাগং ভাইকিংসের এই ওপেনার ১১ ইনিংসে করেছেন মাত্র ১৬৯ রান, সর্বোচ্চ করেছেন ৩৮ রান।

মুশফিকুর রহিমঃ রাজশাহী কিংসের আইকন ছিলেন তিনি। তবে ১৮.৫০ গড়ে ১১ ইনিংসে তাঁর রান মাত্র ১৮৫।

রনি তালুকদারঃ এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ৮ ম্যাচ খেলে রান করেছেন ১২৩। রাজশাহী কিংসের হয়ে প্রথম ম্যাচে ৪৭ রান করে শুরুটা সুন্দর করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ধারাবিকতা ঠিক রাখতে পারেনি।

জস বাটলারঃ ১৪ ম্যাচে মাত্র একটি ফিফটি করলেও ২২৫ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। ১৩ ইনিংসে তাঁর মোট রান ব্যাটিং গড় মাত্র ১৮.৭৫।

তাইজুল ইসলামঃ এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএলে) দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন স্পিনাররা। অথচ জাতীয় দলে থাকা এই বাঁ হাতি স্পিনার সিলেট সিক্সার্সের হয়ে নজর কাড়ার মতো কিছু করতে পারেননি। ৮ ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

জেমস ফ্রাঙ্কলিনঃ তিনি ১১২.৪২ স্ট্রাইক রেটে ১১ ম্যাচে করেছেন ১১৮। বোলিংয়ে ম্যাচ জেতানো কোনো স্পেল নেই। বরং ৮.৮৩ ইকোনমি রেটে উদার হস্তে রান বিলিয়েছেন।

লুইস রিসঃ অখ্যাত এই ইংলিশ অলরাউন্ডার চিটাগং দলের আরেক বিস্ময়কর অন্তর্ভুক্তি। আদতে ওপেনার হলেও গোটা টুর্নামেন্টেই মিডল অর্ডারে ব্যাট করেছেন ৮ ম্যাচে রান করেছেন ১৪১, উইকেট নিয়েছেন ৭টি। দলের প্রয়োজনে জ্বলে উঠতে বরাবরই ব্যর্থ হয়েছেন রিস।

তানবীর হায়দারঃ ১০ ম্যাচে ৩ উইকেট আর ৩৫ রান, তানবীর হায়দারের বিপিএল-দুর্দশা বোঝাতে এই তথ্যটুকুই যথেষ্ট।

লাসিথ মালিঙ্গাঃ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের একজন কিংবদন্তি হিসেবেই মালিঙ্গাকে দলে টেনেছিল চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স। রংপুর হয়ে ৮ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাঁকে। ইকোনমি রেটটাও ভালো নয়-৮.৬১।

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: